টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোলড়া গ্রামে শুকুর (২৯) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শরীফের বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় তার বড় ভাই আবদুল্লাহ (৪০)কে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঈদের দিন সন্ধ্যায় তার বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শুকুর মাহমুদ ও আহত আবদুল্লাহ গোলড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে।
শুকুরের ভাবি ময়না আক্তার জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় যুবলীগ নেতা শরীফের সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ঈদের দিন সন্ধ্যায় শুকুর ও আব্দুল্লাহ মিলে বাড়ির পাশের ধানক্ষেত দেখতে গিয়েছিল।
পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা স্থানীয় যুবলীগ নেতা শরীফের নেতৃত্বে ওবায়দুল, হারুন, রাজ্জাক, মনির, ইসরাফিল, খোকনসহ একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কোপাতে থাকে। তাদের ডাক চিৎকারে এগিয়ে গিয়ে দেখি শুকুরের এক হাত মাটিতে পড়ে আছে। মাথার মগজ বের হয়ে গেছে। আবদুল্লাহর পায়ের রগ কেটে ফেলেছে।
সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় দুই ভাইকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর শুকুরকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আবদুল্লাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সওগাতুল আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন