যশোরে ভারত ফেরত যাত্রিদের মধ্যে দুইজনের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ার পর প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা যাত্রিদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন শেষ হলেই হবে না পরীক্ষা করে করোনা নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত ছাড়পত্র মিলবে না।
রোববার সকালে যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ আবু শাহিন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে এই পর্যন্ত বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে দেশে ফিরেছেন দুই হাজার ৮০২ জন। যাদের যশোরসহ আশেপাশের পাঁচ জেলায় প্রাতিষ্ঠনিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এর মধ্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করে বাড়ি ফিরে গেছেন এক হাজার ১৭০ জন এবং বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন এক হাজার ৬৩২ জন। কোয়ারেন্টিন শেষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কোন পরীক্ষা ছাড়াই বাড়ি ফিরে যেতে পারলেও এখন আর সেটা সম্ভব হবে না। কারণ সরকারি নির্দেশনা মতে কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিদের শরীর থেকে ১৫তম দিনে নমুনা নেওয়া হবে এবং নেগেটিভ রিপোর্ট হলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভারতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সাথে দেশের সকল সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। তবে ওইদিন থেকে ভারতে বাংলাদেশ মিশনের বিশেষ অনুমতি নিয়ে দেশে ফেরার সুযোগও দেওয়া হয়। ওইদিন থেকে যারা দেশে ফিরেছেন এবং যাদের করোনা নেগেটিভ সনদ আছে তাদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় জিনোম সেন্টারে ভারত ফেরত দুইজন যাত্রির নমুনায় ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় এবং আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকা এক মহিলার মৃত্যু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন