নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পরকীয়া সংক্রান্ত বিষয়ে দুই পরিবারের দ্বন্দ্বের জেরে মেহেদী হাসান মুন্না নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোয়ালপাড়া এলাকায়। নিহত মুন্না একই এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে।
আত্মহত্যাকারী মুন্নার মামা আইনজীবী মঞ্জুর হোসেন জানান, তার ভাগনে মেহেদী হাসান মুন্না ইউসুফগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় মোবাইল ফোনে বাগবের গ্রামের প্রবাসী কবির মিয়ার স্ত্রী ৫ বছরের এক ছেলে সন্তানের জননী তানজিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে যায় এবং তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রথমে ছেলেরপক্ষ থেকে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়। পরে মেয়েপক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাল্টা মামলা হলে উভয় পরিবারের মাঝে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। ওই মামলায় আটক হলে মেহেদী হাসান মুন্না গত ১ মাস জেল হাজতের কিশোর সংশোধন সেন্টারে ছিলেন। পরে আদালত মুন্নাকে তার মা মমতাজের হেফাজতে জামিন দেন। এরপর গত ২০ রমজান বাড়িতে ফিরে এলে কারো সাথে কথা না বলে ঘরে থেকেই সময় কাটাতো মুন্না। গত শনিবার সন্ধ্যায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে মুন্নার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা হয়নি।
রূপগঞ্জ থানার ওসি এইচ এম জসিম উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। মেহেদী হাসান মুন্নার মৃত্যুর পেছনে কারো প্ররোচণা থাকলে বাদী পক্ষের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন