ইসরায়েলে ৭ দিনে ৩ হাজার রকেট ছুড়ে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হামলার জবাব দিচ্ছে হামাস।অষ্টম দিনে গড়িয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন লড়াই। লড়াই যে রকম তীব্র হয়ে উঠেছে তাতে খুব শিগগিরই এটি 'পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে' রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজায় মুহুর্মুহু বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। বৃষ্টির মতো রকেট ছুড়ে জবাবটা ভালোই দিচ্ছে হামাস। গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারই ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রকেট ছুড়েছে হামাস। - এএফপি
গত ১০ মে থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত গাজা থেকে প্রায় ৩ হাজার রকেট ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০১৯ সালে হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ২০০৬ সালে হেজবুল্লাহ’র সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের চেয়েও বেশি। ইসরায়েলের হোম ফ্রন্টের কমান্ডার মেজর জেনারেল ওরি গরডিন গত কয়েক বছর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের ওপর যত রকেট ছোড়া হয়েছে তার একটি গ্রাফ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন ইসরায়েলের দিকে তিনদিন ধরে হামাস ৫৭০টি রকেট ছুড়েছিল। এছাড়া ২০০৬ সালে লেবাননের হেজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলের দিকে ১৯ দিনে ৪ হাজার ৫০০টি রকেট ছোড়া হয়েছিল। তবে এবার সোমবার থেকে সাত দিনের মধ্যেই ৩ হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে।
সোমবার থেকে যে পরিমাণ রকেট ছোড়া হয়েছে তার হার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে গরডিন বলেন, আমি শুধু এটায় একমতই না, এটাই আমি উপস্থাপন করছি। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কট্টর ইহুদি ও ইসরায়েলি পুলিশের উত্তেজনা চলতে থাকে। পুলিশের হামলায় আহত হয় বহু ফিলিস্তিনি। এরপর গত সোমবার থেকে হামাস গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট হামলা শুরু করে। জবাবে ইসরায়েলও গাজায় ভয়াবহভাবে বোমা হামলা চালায়। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় দই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। আর হামাসের হামলায় মারা গেছেন ১০ ইসরায়েলি। শুধু রবিবারই ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ৩৩ জন ফিলিস্তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন