ইসরাইল অধিকৃত পবিত্র নগরী জেরুসালেমের শেখ জাররাহ থেকে কয়েকটি মুসলিম পরিবারকে ইসরায়েলি বাহিনীর উচ্ছেদের তৎপরতার বিরুদ্ধে অনবরত বিক্ষোভ মিছিল করে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ইহুদিবাদী দেশটির নিম্নআদালত ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পক্ষে রায় দিয়েছে। খবর স্পুটনিকের।
এ ব্যাপারে আগামী ২ আগস্ট ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্টে শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কারণেই ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসার সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করছেন শেখ জাররাহর বাসিন্দাসহ ফিলিস্তিনিরা।
এ বিয়ষটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজরে আসে গত মে মাসে ইসরায়েল-হামাস ১১ দিনের যুদ্ধের ঘটনায়। সেই সময় কট্টর ও উগ্রপন্থি ইহুদিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় শেখ জারায় উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গেলে মানবাধিকার কর্মীসহ সাধারণ ফিলিস্তিনিরা এ ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন। প্রচণ্ড প্রতিরোধের মুখে পিছু হটলেও ইসরায়েল ব্যাপক ধরপাকড় ও হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের ওপর।
শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর ছত্রছায়ায় আল-আকসায় মুসল্লিদের ওপর বর্বতা চালায় উগ্রপন্থি ইহুদিরা। ফলে যুদ্ধে জড়ায় হামাস। ফিলিস্তিনি আবাসিক এলাকাগুলোতে নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ২৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী।
পরে এ ঘটনার জন্য ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরাইল নাহালাত শিমন কোম্পানির মাধ্যমে শেখ জাররাহ থেকে আরব পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেয়। নাহালাত শিমন কোম্পানি আরবদেরকে শেখ জাররাহ থেকে উচ্ছেদ করে ওইখানে ইহুদিদের জন্য বসতি নির্মাণ করতে চায়।
১৯৪৮ সালে ইসরাইলের স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে শেখ জাররাহ যে ভূমির ওপর নির্মিত তা ছিল ইহুদিদের মালিকানাধীন। ইসরাইলের এ স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ২৮টি ফিলিস্তিনি আরব পরিবার ইহুদিদের সাথে তাদের বাড়ি পরিবর্তনের মাধ্যমে এ বাড়িগুলো লাভ করে। ওই পরিবারগুলো এখনো সেখানে বাস করে।
ইসরাইল ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে জেরুসালেম শহরের পূর্ব অংশ দখল করে। ওই শহরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করছে দখলদার ইসরাইল। এই সুবাধে পাঁচ বছর পর দু’টি ইহুদি সংগঠন বদল করা চারটি বাড়ির ওপর নিজেদের মালিকানা দাবি করে। আর তাদের মালিকানা স্বত্ব দাবি করেছে নাহালাত শিমন কোম্পানি। সূত্র : দ্য জেরুসালেম পোস্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন