লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৬ সন্তানের জনক জসিম উদ্দীন নামে (৫২) বছরের বয়সী এক ব্যক্তি কর্তৃক যৌন লালসার শিকার হয়ে ১৩ বছরের এক কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের চরবেদমা গ্রামের
রাজা মিয়ার সমাজের ইউছুফ হাজির বাড়ীতে।
বর্তমানে ধর্ষিত কিশোরী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা আব্দুল মতিন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)সদস্য বাবুলের নিকট বিচার দায়ের করে আরও হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।
পরবর্তীতে উপজেলার চর পোড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দায়ের করলে চেয়ারম্যান মিমাংসা করবেন বলে গত রবিবার বিচারের দিন ধার্য করেন। ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর রবিবার চেয়ারম্যান এই বিচার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সরেজমিনে ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিগত প্রায় ৫ মাস আগে একই বাড়ীর মৃত আব্দুল খালেক হাজির ছেলে জসিম উদ্দীন (৫২)কিশোরীর বাবা মা ঘরে না থাকার সুযোগে তার বসতঘরে প্রবেশ করে তাকে মুখ চেপে ধরে ঝাপটি মেরে ধর্ষণ করেন। এতে ঐ কিশোরী অচেতন হয়ে পড়েন।পরে এই ঘটনা কাউকে না বলতে জসিম নিষেধ করেন। তার কথা বিশ্বাস করে কিশোরী এই ঘটনা কাউকে জানায়নি।
এতে প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ ঐ কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন দেখে এলাকাবাসী তার মা বাবাকে জানান।পরে মা বাবা তার শারিরীক পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনা খুলে বলেন ঐ কিশোরী।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর মা জানান, ৫ মাস আগে আমি ও আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে স্থানীয় লম্পট জসিম উদ্দিন মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষর করে। এই ঘটনা কাউকে জানালে মেয়েকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয় জসিম।
ভয়ে তখন সে কাউকে কিছুই বলেনি।এতে প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ তার শারিরীক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তাদের আশেপাশের লোকজন বিষয়টি তাদেরকে জানান।পরে বাড়ীর লোকজন ও তার মা বাবা ঐ কিশোরীকে তার শারিরীক অবস্থার কারণ জানতে চাইলে তিনি ঘটনাটি খুলে বলেন।পরবর্তীতে আমি(মা) মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। ডাক্তার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে মেয়ের পেটে ৫ মাসের বাচ্চা রয়েছে বলে প্রতিবেদন দেন।ধর্ষিতার মা বলেন, আমার স্বামী একজন প্রতিবন্ধী। মানুষের বাড়ীতে কাজকর্ম করে আমি সংসার চালাই। বিষয়টি নিয়ে জসিমের পরিবারে জানাজানি হলে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে 'ঔষধ ব্যবহার সেবন করে কিংবা গর্ভপাত করে বাচ্চা হত্যার' পরামর্শ দেয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও রামগতি থানা পুলিশ কে বিষয়টি অবহিত করালে ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানান কিশোরীর মা।এই ঘটনায় চরম আতংকে দিনাতিপাত করছেন ঐ কিশোরীর পরিবার। বর্তমানে অভিযুক্ত জসিম উদ্দীন পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত জসিম উদ্দীনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল করলে তার ছেলে রিসিভ করে বাবা বাড়ীতে নেই বলে ফোন কেটে দেন।
এবিষয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন হাওলাদার বলেন,সামাজিক মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি।কিন্ত বিষয়টি জটিল হওয়ায় আমার পক্ষে সম্ভব নয়।তাই তাদেরকে থানায় যেতে বলেছি।
রামগতি থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন,বিষয়টি কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।তবুও তিনি এখনি খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন