শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সংকট উত্তরণে চাই দুই বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার : নুর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০২১, ৮:১৮ পিএম

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে দুই বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ছাত্র-যুব-শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক নুর। আাজ শনিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট : উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে একটা দলকে সরিয়ে আরেকটা দলকে ক্ষমতায় বসালেই জনগণের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন হবে না। আমরা রাষ্ট্রের কেমন পরিবর্তন চাই, ক্ষমতায় গেলে কীভাবে পরিবর্তন করব সেই রূপরেখাটা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। যার ভিত্তিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে। আমরা চাই না একই ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্ট থাকুক। বেশি দিন ক্ষমতায় থাকলে তার মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি হয়। একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার থাকা যাবে না। আমরা চাই বিচার বিভাগ সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ড উঁচু করে কাজ করবে।

তিনি উল্লেখ করেন, আমরা মনে করি না যে, কাল একটা নির্বাচন দিলেই এই সংকটের উত্তরণ হবে। তার জন্য একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দুই বছর দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। যাদের কাজ হবে রাষ্ট্রযন্ত্রের চলমান অসঙ্গতিগুলোকে সঙ্গতিপূর্ণ লাইনে নিয়ে আসা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যেন সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগ করতে পারে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা যেন এসপি কিংবা ডিসির চোখ রাঙ্গানিতে ভয় না পায়। আদালতকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। প্রশাসনসহ সব ক্ষেত্রে নোংরা দলীয়করণের পরিবর্তন করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় আইন ও সংবিধান সংস্কার করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি ‘ফ্রি-ফেয়ার’ ইলেকশনের দিকে যেতে হবে। সংকট উত্তরণে জনগণকেও দায়িত্ব নিতে হবে উল্লেখ করে নুর বলেন, আমাদের মানসিকতায় একটা পরিবর্তন আনা দরকার। সব কিছু রাজনৈতিক দল করবে, বিষয়টি এমন নয়। সংকট উত্তরণে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, দেশের নাগরিক হিসেবে আপনার-আমারও দায়িত্ব রয়েছে। দেশের আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আমি-আপনিও দায়ী। গত বছর বেলারুশে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে, করোনার মধ্যেও জনগণ মাঠে নেমে এসেছে।

কিন্তু আমাদের দেশে ২০১৪ এবং ১৮ সালে এমন দুটো নির্বাচন হয়েছে কিন্তু আমরা ভোটাধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামিনি। তাই এ অবস্থার জন্য আমরাও দায়ী। আমি মনে করি, বর্তমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৯ মে, ২০২১, ৯:০৯ পিএম says : 0
যেইটাই করতে চাও কাজে আসবে না যেই সেই,সংসদীয় পদ্ধতি একেবারেই বাতিল করিতে হবে,রাষ্ট্রপতি পদ্ধতি চালু করতে হবে,অন্যথায় লাভ নাই,সংসদীয় পদ্ধতি দলীয় সবাই লুঠ পাঠ করে খাবে,500জন লোক খাইয়া যাহা থাকে জনগণ খাবে,
Total Reply(0)
মোঃ+দুলাল+মিয়া ২৯ মে, ২০২১, ১১:৫২ পিএম says : 0
একটি কথা চিন্তা করলে ছাত্র ছাত্রীদের উপলব্ধি হবে আশা করি,যে সময় রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি ছিল তোমাদের ছাত্র ছাত্রীদের ঐক্যবদ্ধ ছিল তোমাদের মধ্যে কারো সাথে কারো হিংসা প্রতিহিংসা ছিল না,পততেক (কলেজ)=(ইউনিভার্সিটিতে)একটি নির্বাচন হতো ,সে খানে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিনিধি হতো,পি বি পদ হইতে অন্যান্য পদ গুলি ছিল,সমস্ত বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে একটি মধুর সম্পর্ক ছিল,ছাত্র ছাত্রীরা এই দেশের ভবিষ্যত্ ,যতই তাহারা কেউ এদল ঐ দল করতেন কার্যক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ ছিলেন,তাদের অধিকারের জন্য তারা ঐক্য হয়ে বলতেন,রাষ্ট্রপতি যদি তাদের দাবি গুলি পুরা পুরি না মেনে নিতেন,তবু ও দেশের যারা ভবিষ্যত্ তাদের কথা চিন্তা ভাবনা করতেন,এবং তাদের অধিকাংশ অধিকার পূরণ করতেন,ছাত্রলীগ ,যুবলীগ,জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল,যুব দল ,ছাত্র উনিয়ন সবাই একে অপরের পতি সম্মান দেখাইতেন,কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ নাই,এবং কেউ কাউকে সমমান করে না,আজ আমি দেখতেছি আমাদের ছেলে সন্তান স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটিতে যাইয়া লাশ হয়ে আসতেছে ,এবং এদের কে বর্তমান সংসদীয় দলীয় সরকার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতেছেন,এদের কে বিভিন্ন রকমের আশা আকাঙ্খা দিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছেন, এদের কে পলিটিক্স করে আবার,বিভিন্ন কেইছ দিয়ে অত্যাচার অবিচার হত্যা ঘুম খুন করতেছে,কিন্তু আমাদের এই ছাত্র ছাত্রীদের মাথার মধ্যে এই আইডিয়া আসতেছে না যে আসলেই আমাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতেছেন,যখন দরকার হবে তখন বাবহার,পয়দা শেষ কাচরা দুরে ফেলে দাও,এই হলো সংসদীয় পদ্ধতির কাজ এবং শাসন,আগে রাষ্ট্র পতির কাছে আবেদন করতেন,রাষ্ট্র পতি ছাত্র ছাত্রীদের অন্তত কিছু না দিতে পারলে ও তাদের পতি ভালো আচরণ করে তাদের দাবি দাওয়ার পতি নজর রাখেন,এখন এমন পরিস্থিতি কে কার কথা শুনে এখন সংসদে 500জন আছে সবাই দলীয় ভাবে রাষ্ট্র পতির ক্ষমতা রাখে,আমি বুজলাম আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে চলে যাবে,বি এন পি অথবা জাতীয় পার্টি যেই আসুক,তারাও 500জন জনের সংসদীয় পদ্ধতিতে সরকার গঠন করবে,শেষ পর্যন্ত একই কথা ঐ 500জনের দলীয় ক্ষমতা সবাই দলীয় ভাবে রাষ্ট্র পতির চোয়ারে,যেই সেই আমি দল করি না যাহা উচিত তাই বললাম আমার দৃষ্টিতে সংসদীয় পদ্ধতি দলীয় জনগণের কথা বলার অধিকার নেই,সবাই আজ অসহায় ,জনগণের অধিকার,(আমাদের ভবিষ্যত্ আমাদের রাস্তার আলে আমাদের সম্পদ আমাদের আশার আলো দেশের মেরুদণ্ড ছাত্র ছাত্রীদের অধিকার পাইতে আমাদের জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে,আপনারা বসে থাকলে চলবে না আমি দেশের বিশিষ্টজনদের এবংকি বিশেষজ্ঞদের এবং কি শিক্ষাবীদদের পতি এবং আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের পতি আমার অনুরোধ আবেদন,জরুরি সংবিধান বদলি করে সংসদীয় পদ্ধতি বাতিল করা হউক,এবংকি রাষ্ট্র পতি পদ্ধতি চালু করা হউক,আমরা সবাই মিলে আমাদের জনগণের জন্য এক জন রাষ্ট্রপতিনিধি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবে ,রাষ্ট্র পতি যেই হবে আমরা তাকে মেনে নিবে,আমাদের সংসদীয় পদ্ধতির দরকার নাই। আশা করি বিষয়টি নজরে আনতে জনগণের যেন দয়া হয়। আসসালামুআলাইকুম অরাহমাতুললাহ অবারাকাতু।
Total Reply(0)
Kamal Hossain ৩০ মে, ২০২১, ১২:১০ এএম says : 0
We want to our Vote rights AnyHow Any cost
Total Reply(0)
Kamal Hossain ৩০ মে, ২০২১, ১২:১১ এএম says : 0
We want to our Vote rights AnyHow Any cost
Total Reply(0)
Abdur Rafi ৩০ মে, ২০২১, ৩:৪৬ এএম says : 0
আপনার পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন