করোনা পরিস্থিতির সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে হাট-বাজারে পণ্য কেনাবেচার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছেনা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন বৃহত্তর পশুর হাটে। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে গত এক সপ্তাহে সদর ও পাঁচবিবিতে ৬৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায়১৩ জন মারা গেছে।
উত্তর সীমান্তের বৃহত্তর এই গরুর হাটে প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে রাত পযন্ত চলে গরু কেনা-বেচা। সমাগম ঘটে প্রায় ১০/১৫জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার লোক জনের। গাদাগাদি করে দাঁড়ানো মানুষের মাঝে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা তো দূরের কথা, হাটে আসা পশু ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মুখে কোন মাস্ক নেই। নেই জীবাণুনাশক কোন স্প্রে। দু’ এক’জনের কাছে মাস্ক থাকলেও সেটি মুখের নিচে। পাঁচবিবি পশুরহাটে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
হাট পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে পশু কেনাবেচার কথা লেখাযুক্ত একটি ব্যানার হাটের প্রবেশদ্বারে টানানো থাকলেও তা লোক দেখানো মাত্র, কেউ মানছে না নিয়ম কানুন।প্রাচীনতম বৃহত্তরএই পশুর হাটে বিরামপুর, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, পলাশবাড়ী, রানীগঞ্জ, কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও বদলগাছীসহ উত্তরের প্রায় ১০ থেকে ১৫টি জেলা-উপজেলার কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতা ও খামারিদের জমায়েত ঘটে।
করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও লকডাউনের মধ্যেও পাঁচবিবিতে পুশুর হাট এমন জমজমাট, করোনা প্রবন এলাকা হতে পশু বিক্রয়কারী ও ক্রেতা সাধারনের উপস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে জেলার সাধারণ মানুষকে। জমজমাট এ পশুর হাটে অবাধ ক্রেতা বিক্রেতার গাদাগাদি অবস্থান দেখে আতংকিত জেলার সাধারণ মানুষ।
হাট পরিচালনা কমটির দায়িত্বে থাকা আব্দুল কাদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কেনাবেচা হচ্ছে। আর কেউ যদি মাক্স ব্যবহার না করে তাতে আমার করার কিছু নেই। এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন,স্বাস্থ্য বিধির বিষয়ে হাট ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আমাদের জনসচেতনামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের জরুরী মিটিং রয়েছে সেখানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন