শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বার্সার পাশে জিদানের রিয়াল

প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : গলা ব্যথার কারণে দলে ছিলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নিতম্বে আঘাতজনিত কারণে গ্যারেথ বেল। তাতে অবশ্য থামেনি রিয়াল মাদ্রিদের জয়যাত্রা। হামেস রদ্রিগুয়েজ ও করিম বেনজেমার নৈপুণ্যে এস্পানিওলের মাঠ থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে জিনেদিন জিদানের দল। যে জয় রিয়ালকে বসিয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার পাশে। লিগে এটি রিয়ালের টানা ১৬তম জয়। সমসংখ্যক ম্যাচ জিতে ২০১০/১১ মৌসুমে পেপ গার্দিওলার বার্সা গড়েছিল লা লিগায় টানা জয়ের রেকর্ড।
ভিসেন্তে দেল বস্ক, ইয়ুপ হেইঙ্কেস, বার্নড শুস্টার, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি, হোসে মরিনহো ও কার্লো আনচেলত্তির  মতো নামজাদা কোচেরা যা রিয়ালের হয়ে করে দেখাতে পারেননি, ক্যারিয়ার শুরুর মাত্র ৯ মাসে সেটাই করে দেখালেন জিনেদিন জিদান। অথচ একের পর এক ব্যর্থতার দায়ে রাফায়েল বেনিতেজকে সরিয়ে যখন জিদানকে বার্নাব্যু দলের দায়িত্ব দেয়া হল, তখন এ নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। সমালোচকদের একের পর এক কথার বাণ মুখ বুজে সহ্য করেছেন ‘জিজু’। আসলে মরিনহোর মতো জবাবে কথার তীর ছোড়া তার স্বভাবেই নেই। কাজ করে গেছেন নীরবে। এরই মধ্যে দলকে জিতিয়েছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। জানুয়ারীতে যখন দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন লিগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার চেয়ে ১৩ পয়েন্টে পিছিয়ে। সেখান থেকে টানা ১২ ম্যাচ জিতে জিদানের দল লিগ শেষ করে চ্যাম্পিয়ন বার্সার চেয়ে মাত্র এক পয়েন্ট পিছনে থেকে। গেল মৌসুমটা ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন এবার। প্রথম চার ম্যাচ থেকে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকারও শীর্ষে তার দল। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বার্সা, একইসংখ্যক ম্যাচে লাস পালমাসের পয়েন্টও ৯।
রদ্রিগুয়েজও ফর্মে ফিরতে বেছে নিলেন ঠিক এমন দিনকে। দীর্ঘ ৫ মাস পর রিয়ালের জার্সি গায়ে পরশু গোল পেলেন কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার। দলেই তো সুযোগ পাননি ঠিকমত। মৌসুমে এদিনই প্রথম শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে সেটাকে কাজেও লাগালেন ভালোভাবে। বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে করা তার গোলেই এগিয়ে যায় রিয়াল। ৭১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফরাসি স্ট্রাইকার বেনজেমা। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। জিদানও পেয়ে যান টানা জয়ের রেকর্ড। ফরাসি কোচ অবশ্য জয়ের পুরো কৃতিত্ব শীর্ষদেরই দিচ্ছেন, ‘যখন এভাবে একটার পর একটা জয় আসে তখন আপনি শুধু সুখীই অনুভব করবেন। একটা শেষ হলেই আরেকটা সামনে চলে আসে এবং কাজটা সবাই মিলে দারুণভাবে সম্পন্ন করে। এভাবেই আমরা চালিয়ে যেতে চাই।’ হামেস আর করিমকেও প্রশংসায় ভাসান তিনি, ‘হামেস ১০ নম্বরের মতই মাঝমাঠে খেলেছে, করিমের পেছনে। তার পজিশনে সে ভালো খেলেছে। করিম ও হামেসের খেলায় খুশি হয়েছি গোল করার কারণে নয়, তাদের পারফর্মেন্সের কারনে।’ সাবেক ফরাসি তারকা প্রতিপক্ষের প্রশংসায় বলেন, ‘এস্পানিওল ভালো খেলেছিল, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। তারা শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু এভাবে খেলেই আমাদের পয়েন্ট বের করে আনতে হবে।’
দীর্ঘদিন পর শুরুর একাদশে জায়গা পেয়ে এবং গোল পেয়ে নিশ্চয় স্বস্তিতে হামেসও। কিন্তু ২৫ বছর বয়সী জানালেন ভিন্ন কথা, ‘আমি দলের আরেকজন সদস্য মাত্র। আমি গোল করে ও গোলে সহায়তা করে দলকে সাহায্য করতে চাই।’ তাহলে জিদানের দলে এতদিন সুযোগ না পাওয়াতে কি একটুও ক্ষোভ জমেনি তার মনে? এমন প্রশ্নে হামেস বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন জিদান এবং অন্যদের অধীনেই আমি ভালো করেছি। আমি রিয়ালেই থাকতে চাই। এটাই আমার স্বপ্ন এবং এ জন্য আমি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। জিদান তো আমার আদর্শ।’
একনজরে ফল
এস্পানিওল ০-২ রিয়াল মাদ্রিদ
ওসাসুনা ০-০ সেল্টা ভিগো
অ্যাথ. বিলবাও ২-১ ভ্যালেন্সিয়া
ভিয়ারিয়াল ২-১ রিয়াল সোসিয়াদাদ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন