প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে জাপানে বিদেশি দর্শকদের প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকের টিকিট কিনেছেন যেসব বিদেশি নাগরিক, তাদের অর্থ ফেরত দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেয় আয়োজক কমিটি। এবার এলো নতুন ঘোষণা। স্থানীয় দর্শকদের জন্য কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট এবং ভ্যাকসিন নেয়ার বাধ্যবাধকতা জারি করেছে তারা। খবরটি নিশ্চিত করেছে জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োমিউরি।
একই সঙ্গে গণমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অলিম্পিক বাতিলের যে গণভোট চলছে তাতে এগিয়ে আছে বিরোধীরাই। অলিম্পিক গেমস শুরুর বাকি দুই মাসেরও কম সময়। করোনার চতুর্থ ‘ফ্লো’তেও আসরটি সূচি অনুযায়ী আয়োজনে অটল জাপান সরকার।
জাপানি দৈনিক ‘নিকি বিজনেস’ এর এক জরিপে দেখা যায় অলিম্পিক বাতিলের পক্ষে ৬২ শতাংশ মানুষের ভোট পড়েছে। অপরপক্ষে ৩৩ শতাংশের মতে, অল্প দর্শক বা দর্শক শূন্য অলিম্পিক আয়োজন করা উচিত। জাপানের মন্ত্রী পরিষদের প্রধান কাতসুনোবু কাতো সাংবাদিকদের বলেন, সাধারণ জনগণের সেই জরিপের বিষয়ে অবগত নন তিনি, ‘ইভেন্টটিকে সফল করতে হলে জনগণের অনুভ‚তিকে ম‚ল্যায়ন করা উচিত।’ একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিকে ইভেন্টটি আয়োজনে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান তিনি।
গত বছর টোকিও অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনা প্রাদুর্ভাবে আসরটি এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। স্থগিত করা হয় প্যারা অলিম্পিকও। এবছরের ২৩শে জুলাই শুরু হয়ে ৮ই আগস্ট শেষ হওয়ার কথা অলিম্পিকের। প্যারা অলিম্পিক চলবে ২৪শে আগস্ট থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
২০০ এরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ১১০০০ অ্যাথলেট অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করবে। জাপানের গণমাধ্যমের খবর, টোকিং অলিম্পিক পরিচালনা করতে ২৮০ কোটি ডলার খরচের হিসাব দিয়েছে অলিম্পিক কমিটি। যার মধ্যে করোনা প্রতিরোধেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন