বাংলাদেশে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন উভয়েই দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বুধবার (২ জুন) এফবিসিসিআই আইকন, ৬০ মতিঝিলে তারা এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। তুরস্ক ও বাংলাদেশ উভয় দেশেরই সম্ভাব্য বিভিন্ন পণ্য রয়েছে যেগুলোর ভাল চাহিদা রয়েছে দুটি দেশেই। তিনি তুরস্ক সরকারকে পিটিএ স্বাক্ষর করার বিষয়ে আলোচনা চূড়ান্ত করা এবং বাংলাদেশের সাথে এফটিএ স্বাক্ষরের বিষয়ে আরও বিবেচনা করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, তুলনামূলক সুবিধা ব্যবহার করে দুই দেশের আমদানি-রফতানি প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্য সহজ করা যাবে। এ সময় তিনি বিভিন্ন দেশের সাথে তুরস্কের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য এবং তাদের কর্তৃপক্ষের দক্ষতার প্রশংসা করেন। তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের জন্য তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেন যেখানে বাংলাদেশ তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সমৃদ্ধ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রস্তাব করতে পারে। মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তুরস্ক বাংলাদেশের নির্মাণ ও পর্যটন খাতের দক্ষতা শেয়ার করে পর্যটন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।
তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান বলেন, পরবর্তী তুরস্ক-বাংলাদেশ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকে শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে পারে। তিনি বলেন, তুর্কি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী। যৌথ অংশীদারিত্বের জন্য নির্মাণ, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম, ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা পর্যটন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, আইসিটি, সফট্ওয়্যার ডেভলপমেন্ট, স্টার্টআপ ডেভলপমেন্ট, চামড়া, পাট অন্যতম সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। তিনি অনুরোধ জানিয়ে বলেন এফবিসিসিআই আলোচনার মাধ্যমে সম্ভাবনাময় খাত ও ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে তুর্কি-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সহায়তায় বিজিনেস টু বিজিনেস সভা আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে উভয় পক্ষই বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সফর বিনিময়ের পরামর্শ দেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, আমিন হেলালী, হাবিব উল্লাহ ডন, সালাউদ্দিন আলমগীর, এম এ রাজ্জাক খাঁন, পরিচালক বজলুর রহমান এবং এফবিসিসিআই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন