এশিয়ার সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধু মৎস্য হ্যারিটেজ (মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র) হালদা নদীতে মা মাছ গতকাল বুধবার সকালে ডিমের নমুনা ছাড়লেও বিকালের দিকে পুরো দমে ডিম ছেড়ে দেয়। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের কারণে ডিমের নমুনা দিলেও গতকাল সকালে ডিম দেয়ার প্রাথমিক আলামত দেখা দেয়। তবে প্রচন্ড বৃষ্টি না থাকায় ডিম ছাড়ার ব্যাপারে সংগ্রহকারীরা নিশ্চিত ছিলেন না। বৃষ্টি কম হলেও পাহাড়ি ঢল ও ঘোলা পানির স্রোত থাকায় মা মাছের ডিম ছাড়ার উপযোগী সময় ছিলো। পানিসহ প্রতি নৌকায় ৪/৫ বালতি ডিম সংগ্রহ করেছেন জেলেরা। হালদা নদীর অংকুরিঘোনা থেকে কাগতিয়ার টেক পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এই ৫ কিলোমিটার এলাকায় ১ হাজারের অধিক নৌকায় ২ হাজার ৫শ’ আহরণকারী ডিম সংগ্রহ করেন।
খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলীসহ হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. নাজমুল হুধা হালদা নদীতে ছুটে আসেন। তারা নদীর বিভিন্ন স্থানে ডিম আহরণকারীদের তদারকি করেন। দুর্বৃত্তরা যাতে মা মাছ নিধন করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক রাখা হয়েছে।
হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুধা জানান, নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ডিম আহরণকারীরা বিপুল পরিমান পানিসহ ডিম সংগ্রহ করেছে। হালদা নদীতে পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোত তীব্রতা থাকলে ডিম ছাড়ার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি হতে পারে। ডিম আহরণকারীরা এখন নদীতে ব্যস্তসময় পার করছেন। হালদা নদীর দুই তীরে ডিম আহরণের দৃশ্য দেখতে শত শত লোক ভিড় করছে। তবে এবার ডিম আহরণকারীরা নিরাপদে ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছে।
নয়াহাট এলাকার ডিম সংগ্রহকারী কামাল জানান, তিনি ৪/৫ বালতি ডিম সংগ্রহ করেছেন। তবে গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি ডিম সংগ্রহ করা হয়। অন্য এলাকায় ডিম কম পেলেও উল্লেখিত এলাকায় বেশি পাওয়া যায়। হয়তো ভাটার সময় আরো বেশি ডিম পাওয়া যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন