করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ৫ জুন থেকে সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সাতদিন দোকান-পাট, শপিং মল ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল এই তথ্য জানান।
সভায় জানানো হয়, সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সর্বশেষ এই হার দাড়ায় ৫৭ শতাংশে।
অপরদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিকভাবে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৫ জন।
জেলা প্রশাসক জানান, লকডাউনের এক সপ্তাহে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাকাটার জন্য সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকবে।
তবে, ফার্মেসি, হাসপাতাল, ক্লিনিক, অ্যাম্বুলেন্স এবং বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।
একইসাথে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি স্বাভাবিক থাকবে। তবে বন্দরের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে মোটর সাইকেল চলাচলও। সাতক্ষীরার সাথে যশোর ও খুলনার সড়ক যোগাযোগে পয়েন্টগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হবে। বন্ধ থাকবে সীমান্ত পারাপার। শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত অভিযান চালাবে। বাধা নিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।
তবে, সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জোয়ারে প্লাবিত এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়ন এবং শ্যামনগরের গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নসহ সংলগ্ন কিছু এলাকা লকডাউনের আওতায় থাকছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, করোনা সংক্রমণরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু এবং সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ-জোহরা।
বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন