ইসরায়েলে এক যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট বেঁধেছে বিরোধী দলগুলো। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার মাত্র এক ঘণ্টা আগে নতুন জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর ঘোষণা দেন দেশটির প্রধান বিরোধী দলের নেতা ইয়ার লাপিড। এ জোটে মধ্যপন্থী, ডানপন্থী ও বামপন্থী সবাই রয়েছে। তারা একটি চুক্তি করে নেতানিয়াহুর ক্ষমতা শেষ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু আশা ছাড়ছেন না নেতানিয়াহু। বসে নেই তিনি। বিরোধীদের এই ঐকমত্যের চুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নেতানিয়াহু টুইটারে বিরোধী জোটের সমালোচনা করে বলেছেন- ‘ডানপন্থী দলের যেসব আইনপ্রণেতা ভোটে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই এই বিপজ্জনক বামপন্থী সরকারের অবশ্যই বিরোধিতা করা উচিত।’
গত রোববার থেকে বিরোধী জোট গঠন প্রক্রিয়ার শুরু পর থেকে এটাই নেতানিয়াহুর প্রথম জোরালো আক্রমণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, নেতানিয়াহু ওই জোট থেকে ইয়ামিনা দলের সদস্যদের ভাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ছাড়া বামপন্থী আইনপ্রণেতা ও আরবদের সঙ্গে জোটে যেতে অনিচ্ছুক নেতাদের টার্গেট করবেন তিনি।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে বলছেন, নেতানিয়াহুর ১২ বছরের ক্ষমতা অবসানের আগে নোংরা লড়াই ছড়িয়ে পড়তে পারে। জোট আলোচনার সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, প্রস্তাবিত নতুন সরকার মতাদর্শগুলো পাশ কাটিয়ে ঐকমত্য ধরে রাখার চেষ্টা করবে।
বিরোধী দলগুলোর চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী দল ইয়ামিনা পার্টির প্রধান নাফতালি বেনেত প্রথম দুই বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর বাকি দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন মধ্যপন্থী দল ইয়েস আদিতের নেতা ইয়ার লাপিড। তবে নতুন এই সরকারের শপথ নেওয়ার আগে সরকার গঠনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা যাচাইয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হবে। জোটটি যদি ১২০ আসনের পার্লামেন্টের (নেসেট) সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়, তাহলে নতুন করে নির্বাচন হবে দেশটিতে। এটা হলে গত দুই বছরে পঞ্চমবারের মতো নির্বাচন দেখতে যাচ্ছে দেশটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন