হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছেন গৌতম আদানি। তবে সমস্যার মধ্যেও আদানি গোষ্ঠীর উন্নতি অব্যাহত। ইসরাইলের হাইফা বন্দর অধিগ্রহণ করতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। মঙ্গলবার এই অধিগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু। রপ্তানি ক্ষেত্রে ইসরাইলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর এই হাইফা। গত বছর জুলাই মাসে যৌথভাবে এই বন্দর অধিগ্রহণের টেন্ডার পায় আদানি গোষ্ঠী। জানুয়ারি মাসেই বন্দর কেনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ইসরাইলের মাটিতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এই হাইফা বন্দরের অধিগ্রহণ। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বন্দর কেনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আদানিদের সঙ্গে যৌথভাবে টেন্ডার জমা দিয়েছিল ইসরাইলি গ্যাডোট গ্রুপ। বন্দরের ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে আদানিদের হাতেই। আপাতত এই বন্দর ঢেলে সাজানো হবে। রপ্তানি ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা ছাড়াও বিদেশি পর্যটকদের মধ্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয় এই বন্দর।
মঙ্গলবার এই বন্দর অধিগ্রহণের মাধ্যমে ইসরাইলের মাটিতে পা রাখবে আদানি গোষ্ঠী। বিশেষ অনুষ্ঠানে সংস্থার কর্ণধার গৌতম আদানির পাশে উপস্থিত থাকবেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। জানা গিয়েছে, আদানিদের যৌথ টেন্ডারের মূল্য নিয়ে বেশ খুশি ইসরাইল সরকার। কারণ ১১৮ কোটি ডলারের দরপত্র জমা দিয়েছিল আদানি ও গ্যাডোট গোষ্ঠী। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সংস্থার চেয়ে ৫৫ শতাংশ বেশি দাম দিয়েছে আদানি সংস্থা। এত বেশি মূল্যের টেন্ডার জমা পড়বে সেটা আশা করতে পারেনি ইসরাইল সরকার।
প্রসঙ্গত, ভারতের মোট ১৩টি বন্দর রয়েছে আদানিদের অধীনে। শ্রীলঙ্কার মতো দেশেও বেশ কয়েকটি বন্দর রয়েছে তাঁদের দখলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এশিয়ার গণ্ডি পেরিয়ে এবার পশ্চিমি দুনিয়ায় পা রাখতে চান আদানি। সেই জন্যই মধ্য প্রাচ্যের বন্দর অধিগ্রহণ করে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলতে চাইছেন তিনি। কারণ এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে জলপথে যোগাযোগ রাখার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বন্দরগুলির। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন