কুষ্টিয়া সুগার মিলে গত মৌসুমের (২০১৯-২০) উৎপাদিত ও গুদামজাত ১২১ মেট্রিক টন চিনির মধ্যে ৫৩ টন চিনি গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় স্টোরকিপারকে বরখাস্তসহ সমস্ত মালামাল পুনরায় নিরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারখানার জিএমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবেন।
কুষ্টিয়া সুগার মিল সূত্রে জানা গেছে, ২ জুন মিলের স্টেটমেন্ট দেখার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ৩ জুন প্রতিবেদন জমা দেয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে। স্টেটমেন্টে ১২১ টন চিনি থাকার কথা থাকলেও প্রায় ৫৩ টন ঘাটতি দেখা যায়। এতে দায়িত্বরত স্টোরকিপার ফরিদুল হককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার পর জিএম কল্যাণ কুমার দেবনাথএ তথ্য জানান।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাকিবুর রহমান খান বলেন, স্টোরে চিনির হিসাব করার জন্য প্রথমে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ৩ জুন প্রতিবেদন জমা দিলে দেখা যায়, ৫৩ টন চিনির ঘাটতি আছে। এতে স্টোরকিপার ফরিদুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে তারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। আমরা বিষয়টি সদর দফতরকে জানিয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সদর দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে, তবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানানো হয়নি বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বিরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়া চিনি কলের গুদাম থেকে চিনি খোয়ানো বা চুরি বিষয়ে পুলিশকে কিছুই জানায়নি কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ। সেখানে সত্যিই যদি সরকারি মালামাল চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কাউকে চিহ্নিত করা হয় তাহলে তাকে শুধু বহিষ্কারই নয় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে থাকার কথা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন