ঈদের আগে চালের দাম কিছুটা কমলেও ঈদের পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে চালের। গত সোমবার বগুড়ার কয়েকটি চালের আড়ত ও খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায় মিনিকেট (জিরাশাইল), কাটারি ও বি আর-২৮ চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ৬ টাকা। বাজারে এখন গুটি স্বর্না নামের মোটা চালের উপস্থিতি নেই। কারন বাজারে এখন মোটা চালের কোন কদর বা ক্রেতা কোনটাই নেই।
বগুড়ার অভিজাত বকশিবাজারের স্যাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারি মামুন জানান, এই মুহুর্তে বগুড়ার মিলগেটে মিনিকেট (জিরাশাইল) ৫০ কেজির বস্তা ২৬০০, কাটারি ২৬০০, বি আর-২৮ ২৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । ঈদে দাম ছিলো যত্রাক্রমে ২৩০০ ও ২০০০ টাকা। ফলে কেজির হিসেব কষলে দেখা যাচ্ছে ৪৬ টাকার চাল ৫২ টাকা এবং ৪৪-৪৫ টাকার চাল বেড়ে দাড়িয়েছে ৪৮-৪৯ টাকা।
তিনি জানালেন, সামনে চালের দর কমার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া এটা মিলগেট রেট ওই দরে চাল কিনে খুচরা বিক্রেতারা কেউ ১ টাকা কেউ ২ টাকা লাভ রেখেই বিক্রি করছে। গুটি স্বর্না বা মোটা চাল সম্পর্কে তিনি জানালেন, এখন বাজারে মোটা চালের সরবরাহ নেই। মোটা চালের ধান শুরুতেই কিনে নেন মিল ও চাতাল মালিকরা। সরকারি ধান চাল সংগ্রহ অভিযানে চুক্তিবদ্ধ মিল ও চাতাল মালিকরা নিজেদের লস ঠেকাতে বা কিছু লাভ করতে এলএসডিতে সরবরাহ করে।
বগুড়ার মিল মালিকরা জানিয়েছে, ধানের প্রাপ্যতা মুল্য এখনও সহনীয় পর্যায়ে থাকায় তবুও চালের দাম কেজি প্রতি খুচরাতে ৬০ টাকার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। আগামিতে আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক না হলে চালের দাম আরও বাড়বে। চালের পাইকাররা বলেছেন, করোনা ইস্যুতে পরিবহন খরচ বা ট্রাক ভাড়া বেড়েছে গড়ে ৫ হাজার টাকা। চালের বাজার উর্ধ্বগতির এটাও একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন তারা ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন