দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা
দুপচাঁচিয়ার বাজারে মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে চালের দাম মণ প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা বেড়েছে। তবে চালের দাম চড়া হলেও ক্ষুদে চাতাল ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত। লাভের পুঁজি এখন মজুদদারদের ঘরে। শ্রমিক, দিনমজুর ও রিকশা-ভ্যান চালকেরা প্রতিদিনের জন্য চাল কিনতে এসে বিপাকে পড়ছেন। উপজেলার পুরাতন বাজারে আদর্শ গ্রামের রিকশা চালক হাফিজার রহমান গত মঙ্গলবার সকালে চান কিনতে এসেছেন। তিনি বলেন, চালের দাম গত এক মাসে কেজি প্রতি সাড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ধান চাতাল ব্যবসায়ী উপজেলা চাল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুর রাজ্জাক জানান, ২ মাস আগে জিরা জাতের ধান ছিল মণ প্রতি ৬৫০ টাকা, এখন তা ৯২০ টাকা, বি-আর-২৮ জাতের ধানের বাজার ছিল ৫৮০ টাকা এখন তা ৭৪০ টাকা, পারিজা জাতের ধানের বাজার ছিল ৫৬০ টাকা এখন তা ৭৩০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে। চাতাল ব্যবসায়ীরা বর্তমানে ধান কিনে মণ প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা করে লোকসান খাচ্ছেন। চাতাল শ্রমিকদের অগ্রিম টাকা দেয়ার জন্য লোকসান খেয়ে তার পরও চাতাল চালু রেখেছেন। দুপচাঁচিয়া মোকামের আড়ৎদার মেসার্স ঢাকা রাইচ মিলের মালিক ফরিদ মোল্লা জানান, জিরা জাতের চাল মণ প্রতি ১৩৮০ টাকা দু’মাস আগে তা ছিল ১১৯০ টাকা, বিআর-২৮ জাতের চাল মণ প্রতি ১১৩০ টাকা দু’মাস আগে তা ছিল ১০২০ টাকা, পারিজা জাতের চাল ১১১০ টাকা দু’মাস আগে তা ছিল ৮৭৫ টাকা। গত বছরের এ সময়ের চেয়ে এ বছর চালের দাম মণ প্রতি ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা বেশি। দুপচাঁচিয়া উপজেলা বণিত সমিতির সভাপতি আলহাজ শামসুদ্দিন আহম্মেদ জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারেই চালের বাজার বেশ বেড়ে গেছে। এতে ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের কোন লাভ হচ্ছে না, মজুদদারেরা ফায়দা লুটে নিচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন