শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ফের ব্যর্থ সাকিব, উড়ছেন মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

১৪ বলে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ইমরান উজ্জামান করলেন ৪১ রান। অন্যদিকে লক্ষ্য তাড়ায় মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১৪ বলে করলেন ২২ রান। ব্যবধানে ফুটে উঠল বাস্তবতা। শেষ পর্যন্ত সেই পার্থক্য গড়ে দিল ম্যাচের ভাগ্যও। আবারও ব্যর্থ হলেন সাকিব। বাড়ল মোহামেডানের ব্যর্থতার ধারাও। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেল দেশের ঐতিহ্যবাহী দলটি।
অথচ চলতি মৌসুমের শুরুটা বেশ দারুণভাবেই শুরু করেছিল মোহামেডান। সাকিব ব্যর্থ হলেও সতীর্থরা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। প্রথম তিন ম্যাচেই জয়। কিন্তু সে ধারা ধরে রাখতে পারেনি দলটি। আগের দিন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাছে হারার পর গতকাল দোলেশ্বরের কাছেও হারতে হলো দলটিকে। সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে এদিন বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে মোহামেডানকে ২৩ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে দোলেশ্বর। বৃষ্টির কারণে বিলম্ব হওয়া ম্যাচ নির্ধারিত হয় ৬ ওভারে। প্রথম ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৭৮ রান করে দোলেশ্বর। জবাবে ৪ উইকেটে ৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি মোহামেডান।
ম‚লত লক্ষ্য তাড়ায় মোহামেডানের ব্যাটিং লাইন আপে কেউই কাক্সিক্ষত ব্যাটিং করতে পারেননি। শফিকুল ইসলামের প্রথম দুই বলেই ফিরে যান দুই ওপেনার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে থাকেন লম্বা সময় ধরে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগতে থাকা সাকিব। পারেননি অন্য কোনো ব্যাটসম্যানও আগ্রাসী হতে। সাকিবের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬ রান করেন নাদিফ চৌধুরী। ফলে হার মানতে বাধ্য হয় দলটি। তবে এদিন ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ইমরানই। ওপেনিংয়ে নেমে এক প্রান্তে ঝড় তোলেন এ ওপেনার। দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়ে মাত্র ১৪ ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় বলে ৪১ রান করেন ইমরান। এক সাকিবকেই মেরেছেন তিনটি ছক্কা। কম যাননি শামিম হোসেনও। ১৬ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় করেন হার না মানা ২৯ রান।
তাসকিনের করা ইনিংসের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ঝড়ের শুরু করেন ইমরান। পরের বলেই চার। দুই ছক্কা এক চারে প্রথম ওভারেই আসে ১৮। সাকিবের করা পরের ওভারেও চলে তাÐব। দেশ সেরা এ খেলোয়াড়ের ওভারেও দুটি ছক্কা ও একটি চারে নেন ১৭ রান। রুয়েল মিয়ার করা তৃতীয় ওভারে আসে ২৩ রান। ফলে তিন ওভারেই আসে ৫৮ রান। তবে পরের ওভারেই বোলিং এসে একটা ছক্কা খেলেও বিপজ্জনক ইমরানকে ফেরান সাকিব। তাতে কমে আসে দোলেশ্বরের রানের গতি। ২৩ বলে করা ৬৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর পরের ১৩ বলে আরও দুটি উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে মাত্র ১০ রান। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতাও শেষ রক্ষা হয়নি মোহামেডানের।
তবে এক ম্যাচ হারের পরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী আবাহনী। জয়ের নায়কও সেই মুশফিকুর রহিম। তার ম্যাচ জেতানো ইনিংস আগেও ছিল দুটি। কিন্তু লিগে এবার ফিফটি ছিল না মুশফিকের। মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে তো রানই ছিল না তেমন। এদিন একসঙ্গেই দুজন পেলেন ফিফটির দেখা। তাদের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে আবাহনী পেল দারুণ এক জয়। ব্যাটিং-বোলিং, দুই ইনিংসেই শুরুটা দুর্দান্ত করেও ধরে রাখতে না পেরে হেরে গেল গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স। প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড জিতল ৭ উইকেটে।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সৌম্য সরকারের ফিফটিতে গাজী গ্রæপ ২০ ওভারে তোলে ১৫০ রান। আবাহনী শুরুতে খুঁড়িয়ে এগোলেও পরে দারুণ গতিময়তায় ছুটে জিতে যায় ১২ বল বাকি রেখেই। ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ২৮ বলে ৫০ মোসাদ্দেক। দুজনের ১০৫ রানের জুটি এসেছে কেবল ৬০ বলেই।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠেও বৃষ্টির কারণে ম্যাচের পরিধি কমানো হয়। ১৩ ওভারের এ ম্যাচে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ১৬ রানে হারিয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আনিসুল ইসলাম ইমনের ৪৪, রায়ান রাফসান রহমান ৩৭ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ২৯ রানের ভর করে ৪ উইকেটে ১২০ রান করে ওল্ড ডিওএইচএস। জবাবে ইমতিয়াজ হোসেনের ৩৩ ও জহুরুল ইসলামের অপরাজিত ৩৭ রানের পরও ১০৪ রানের বেশি করতে পারেনি খেলাঘর।
আরেক ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ১৪ রানে হারিয়েছ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। বৃষ্টির কারণে এ ম্যাচের পরিধি কমিয়া আনা হয় ১২ ওভারে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সানজামুল ইসলামের ২৪ ও অধিনায়ক নাঈম ইসলামের অপরাজিত ১৮ রানে ৬ উইকেটে ৮১ রান করতে সমর্থ হয় রূপগঞ্জ। জবাবে মাহিদুল ইসলাম অংকনের ৩০ রানের পরও ৬ উইকেটে ৬৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি শাইনপুকুর।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন