ইউরোর গ্রুপ ‘এফ’-কে ধরা হয় গ্রুপ অব ডেথ বা মৃত্যুকূপ। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সঙ্গে আছে জার্মানি, পর্তুগাল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই প্রতিপক্ষদের বার্তা দিয়ে রাখছে গ্রুপের সদস্যরা। এই যেমন প্রীতি ম্যাচে গতপরশু লাতভিয়াকে সাত গোলের মালা পরিয়েছে জার্মানি। একই গ্রুপে থাকা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সও চুপ করে বসে নেই। বুলগেরিয়াকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে টুর্নামেন্টের ড্রেস রিহার্সাল সেরে রেখেছে ফরাসিরা।
অবশ্য ম্যাচটায় চোট-শঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছিলেন ফ্রান্স দলে দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাওয়া করিম বেনজিমা। কোচ দিদিয়ের দেশম ঝুঁকি নিতে রাজি ছিলেন না বলে ফরাসি স্ট্রাইকারকে উঠিয়ে নেন ৪১ মিনিটে। ৫ হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই ফ্রান্স ত্রাস ছড়িয়েছে বুলেগিয়ার রক্ষণে। শুরুর দিকে কিলিয়ান এমবাপে বক্সে ঢুকে সুযোগ তৈরি করলেও সেটি রুখে দেন বুলগেরিয়া গোলরক্ষক। এর পর বেনজিমাও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
দলীয় নৈপুণ্যে ত্রাস ছড়ানোর পর ফ্রান্সের হয়ে বুদ্ধিদীপ্ত সুযোগটি তৈরি করেন গ্রিজমান। ২৯ মিনিটে তার অ্যাক্রোবেটিক ফিনিশ একজনের গায়ে লেগে জড়ায় জালে। হাঁটুর চোটে বেনজিমাকে উঠিয়ে নিলে বদলি হয়ে মাঠে নামেন অলিভিয়ে জিরুদ। এর পর দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু পরিবর্তন করেন দেশম। কন্তে-গ্রিজমানকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন ৬৫ মিনিটের পর। ব্যবধান বাড়ছিল না তার পরেও।
বদলি খেলোয়াড়রে মাঝে বেশি সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন জিরুদ। সেই সুবাদেই ৮৩ ও ৯০ মিনিটে আসে দুই গোল। অথচ চেলসির হয়ে এই মৌসুমে সেভাবে সুযোগই পাননি খেলার। অবশ্য জোড়া গোল করে ফ্রান্সের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডধারী থিয়েরি অঁরির আরও কাছে চলে এসেছেন জিরুদ। ৫১ গোল নিয়ে অঁরি আছেন শীর্ষে। দুইয়ে অবস্থান করা জিরুদের গোল এখন ৪৬।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন