ময়মনসিংহে দাম্পত্য স্বত্ত¡ ফিরে পেতে স্বামীর বিরুদ্ধে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী ডাক্তার। গতকাল দুপুরে ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে এ অভিযোগ দায়ের করেন ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসী। এনিয়ে জেলা আইনজীবী মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ওই আইনজীবী স্বামীর নাম অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম টিটু। তিনি জেলা আইনজীবী সমিতির একজন সম্মানিত সদস্য। গফরগাঁও উপজেলার রৌহা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মাস্টারের পুত্র তিনি। খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. বিকাশ চন্দ্র রায়। তিনি জানান, এ ঘটনায় দু’পক্ষ বসে কম্প্রোমাইজ হয়েছিল বলে জানতাম। এখন নতুন অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম টিটু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ডা. জান্নাতুল ফেরদৌসীর সাথে। র্দীঘ ১৪ বছরের সংসার জীবনে ১২ বছর এবং ৭ বছর বয়সী দুটি মেয়ে সন্তানসহ ৩ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
স্ত্রীর অভিযোগ, সংসার জীবনে আমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। এসবের প্রতিবাদ করায় চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি স্বামীর সাথে চেম্বারে স্বাক্ষাৎ করতে গেলে আমাকে প্রকাশ্যে অপমান করে তিন তালাক প্রদান করেন। এ ঘটনার পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে পারিবারিক কলহ ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিবাদে মৌখিক তালাক প্রাপ্তির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পরে আইনজীবী নেতাদের মধ্যস্ততায় লিখিত তালাকের বিষয়ে আর কোন নোটিশ পাঠাবে না এবং দ্বিতীয় বিবাহ করবেন না বলে স্বামী অঙ্গীকার করেন। কিন্তু এই অঙ্গীকার ভঙ্গ করে গত ৪ জুন রাতে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে। এতে আমি শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছি। তবুও আমি সন্তাদদের ভবিষতের চিন্তায় দাম্পত্য ফিরে পেতে চাই। এবিষয়ে অ্যাডভোকেট আজাহারুল ইসলাম টিটু বলেন, এনিয়ে একাধিবার শালিস বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা না হওয়ায় মুসলিম পারিবারিক আইনের ৭ ধারা মতে তার তালাক দেয়া হয়েছে। বিগত কয়েক মাস যাবত তাদের ভরণ পোষণের জন্য খরচ দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন