স্পোর্টস রিপোর্টার : দীর্ঘ এক বছরের বিরতি দিয়ে আবারও টার্ফের লড়াইয়ে মুখর হবার অপেক্ষায় মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম। সব প্রস্তুতি শেষ। অপেক্ষার পালাও প্রায় শেষ। ঢাকায় আসতে শুরু করেছে বিদেশী দলগুলো। এখন মাঠে গড়ানোর পালা অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপ হকি টুর্নামেন্টের খেলা। আগামী শনিবার থেকে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে শুরু হবে সাত দেশের এই টুর্নামেন্ট। নিরাপত্তার কারণে জাপান আসতে না চাওয়ায় সাত দল দুই ভাগে খেলবে। পুল ‘এ’তে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে আছে শক্তিশালী ভারত ও ওমান। পুল ‘বি’তে লড়বে পাকিস্তান, চীন, চাইনিজ তাইপে ও হংকং চায়না।
উদ্বোধনী দিনে ভারতের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হবে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর। রোমান সরকার, আশরাফুল ইসলাম, আরশাদ হোসেন ও ফজলে রাব্বি-জাতীয় দলের এই চার জন আছেন অনূর্ধ্ব-১৮ দলে। এশিয়া কাপ সামনে রেখে যুবারা গত দুই মাস ধরে কাওসার আলীর অধীনে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) অনুশীলন করছে যুবারা। চেনা টার্ফে, পরিচিত দর্শকের সামনে ফাইনালে খেলার আশা করছে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহসভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ এগিয়ে রাখছেন ভারতকে, ‘ভারতকে এগিয়ে রাখছি; কিন্তু বয়সভিত্তিক পর্যায়ে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে ফাইনালে খেলার আশা আছে আমাদের।’
আন্তর্জাতিক এই আসরের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বেক্সিমকো গ্রæপ। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক। এ সময় সহসভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ ও শফিউল্লাহ মুনীর, যুগ্ম সম্পাদক আনভীর আদিল খান বাবু ও পৃষ্ঠপোষক বেক্সিমকোর গ্রæপ পরিচালক আজমল কবির উপস্থিত ছিলেন।
২০০১ সালে মালয়েশিয়ার ইপোতে অনুষ্ঠিত প্রথম অনূর্ধ্ব-১৮ এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ১৫ বছর কেটে গেলেও পরবর্তী দু’টি আসরে আর অংশ নেয়া হয়নি লাল সবুজদের। মধ্যগগনের কালো মেঘ সরে গিয়ে দেশের হকিতে নতুন করে সূর্যোদয় ঘটছে। সেই উত্থিত হকিকে দুর্বার বেগে এগিয়ে নিতে চায় বেক্সিমকো। আজমল কবিরের কথায়, ‘দেশের ক্রিকেটের মতো দুরন্ত গতি দেখতে চাই হকিতেও। তাই আমাদের এগিয়ে আসা।’ টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে বিকেএসপির অনূর্ধ্ব-১৮ দলটি অংশ নেবে। যারা তিনমাস ধরে অনুশীলন করছে কোচ কাউসার আলীর তত্বাবধানে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের লক্ষ্য ফাইনাল খেলা। অবশ্য সে জন্য ওমান ও পাকিস্তানকে টপকাতে হবে লাল সবুজদের। খাজা রহমতউল্লাহর কথায়, ‘ওমানের অনূর্ধ্ব-১৮ দলটি কখনোই আমাদেরকে হারাতে পারেনি। তাই আমরা প্রত্যাশা করছি ফাইনাল খেলার পথে পাকিস্তানই আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর সে বাধা টপকাতে পারলে ফাইনালে খেলার স্বপ্ন পূরন হবে আমাদের। গতকালই ঢাকায় এসেছে ভারত ও চাইনিজ তাইপে দল। বাকিরা আগামীকালের মধ্যেই চলে আসবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। সাধারণ দর্শকদের জন্য পাঁচটি গেট খোলা থাকবে। আর এবার প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের আমেজ পাওয়া যাবে বলে জানান শফিউল্লাহ মুনীর। তার কথায়, ‘থাকবে ডিজে এবং সাউন্ড সিস্টেমও। উদ্বোধনী দিনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে।’ টুর্নামেন্টের বিশেষ কিছু ম্যাচ এটিএন বাংলা সরাসরি সম্প্রচার করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন