সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে করোনা ক্রমাগত বাড়ছেই। পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। মঙ্গলবারের রিপোর্ট ২৪ঘন্টায় আকান্ত হয়েছেন ১৯৬। মৃত্যু হয়েছে ১৩। ২৪ঘন্টার ব্যবধানে এই হার এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোর ২ জন, খুলনায় ২ জন, সাতক্ষীরায় ৩ জন, কুষ্টিয়ায় ৩ জন, ঝিনাইদহে ২ জন ও বাগেরহাটে ১জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাস শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলা রয়েছে শীর্ষে। খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৬৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৮২০ জন। একইভাবে যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২৪৯ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ৫৪৬ জন। এ সময় মারা গেছেন ৯৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৭০১ জন।
ঝিনাইদহে শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৫৪ জন। মারা গেছেন ৬০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ জন। নড়াইলে শনাক্ত হয়েছেন ৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১১০ জন। মারা গেছেন ২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৪৭ জন। মাগুরায় শনাক্ত হয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৪২ জন। এ সময় মারা গেছেন ২৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২১৫ জন।
বাগেরহাটে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৩ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হলো ২ হাজার ২৬২ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৫ জন। সাতক্ষীরায় শনাক্ত হয়েছেন ৯১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৫২৩ জন এবং মারা গেছেন ৫৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৭১৭ জন। কুষ্টিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৯১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৭৩৫ জন। মারা গেছেন ১৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮৭০ জন। অনুরূপ, চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৫০ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৩২৯ জন। মারা গেছেন ৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৯ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন