নগরীতে তিনটি বাসায় হানা দিয়ে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় চোরচক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে চুরি করেই তারা কোটিপতি বনে গেছেন। সমাজে তারা কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী হিসাবে পরিচিত। পরপর বেশ কয়েকটি চুরির পর তারা কিছুদিন আড়ালে থাকেন। ফের নামেন চুরিতে। শনিবার পর্যন্ত টানা অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তাদের কাছ থেকে সাত ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৭৯ হাজার টাকাসহ বিপুল চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার রাজপাড়ার মো. খলিলুর রহমানের পুত্র মো. ইমন (৩২), একই এলাকার মৃত সুলতান খানের পুত্র মোঃ আশ্রাব খান (৩৫), ইমনের স্ত্রী শাজাদা আক্তার ওরফে সাদিয়া (২০) ও আনিকা সুলতানা সানি (১৯)। কোতোয়ালী থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, ইমন পেশাদার চোর। তার বিরুদ্ধে চুরির একাধিক মামলা রয়েছে। তার প্রধান সহযোগী আশ্রাব খান। অপর দুই জন তাদের সহযোগী।
এই চক্রটি গত ৫ মার্চ নগরীর হেমসেন লেইন বড়ুয়া গলিস্থ বসুন্ধরা বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় হানা দিয়ে সাত ভরি স্বর্ণালংকার, একটি টাইটান হাতঘড়িসহ মোট ১১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে। গত ১৬ জুন নন্দনকানন ৩নং গলি ১৫/এ হরিশদত্ত লেইনস্থ শামসুল আলমের বিল্ডিংয়ের ৫ম তলার বাসায় হানা দিয়ে ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লাখ টাকা চুরি করে। একই রাতে রাজাপুকুর লেইনস্থ সাধনা ভবনের ৪র্থ তলায় রামকৃষ্ণ পালের শয়ন কক্ষ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে। এই তিনটি মামলায় পুলিশ তাদের ধরতে মাঠে নামে।
তাদের কাছ থেকে ৩৯ রকমের চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। ওসি জানান মোঃ ইমন একজন পেশাদার চোর। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চুরি পেশায় জড়িত। চুরি করে কিছুদিনের জন্য চুরির কাজ বন্ধ করে রাখে। এলাকায় সে স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। আশ্রাব খান ইপিজেড এলাকায় একটি তোয়ালে ফ্যাক্টরীতে চাকুরি করে। চাকুরির পাশাপাশি সে ইমনের সাথে মিলে চুরি করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন