করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেড় মাসেরও বেশি সময় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (১৯ জুন) রাতে তিনি হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরেছেন। রাত সোয়া ৮টার দিকে বেগম জিয়াকে হুইল চেয়ারে করে হাসপাতালের লিফট দিয়ে নিচে নামিয়ে সাদা রঙের প্রাইভেট কারে তোলা হয়। রাত সাড়ে ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসন তার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান। এদিকে দেশের অন্যতম এই জনপ্রিয় নেত্রী ও বিএনপি প্রধান হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ছেড়েছেন দলটির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।
যদিও তার ব্যক্তিগত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরলেও তার হার্ট ও কিডনির সমস্যা রয়েছে। এজন্য তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, আল্লাহর রহমতে কোভিডের আক্রমণ থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। কিন্তু দীর্ঘ চার বছর তার চিকিৎসা না হওয়ার কারণে, কারাগারে রাখার কারণে তিনি অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তার হার্টে সমস্যা তৈরি হয়েছে, কিডনিতে সমস্যা তৈরি হয়েছে, লিভারে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তার পুরনো অসুখ আর্থ্রাইটিসও রয়েছে। এসব কটি মিলিয়ে উনি অত্যন্ত অসুস্থ আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তিনি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়া গত ২৭ এপ্রিল এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩ মে তিনি শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ৯ মে তিনি করোনামুক্ত হন। করোনা থেকে সেরে উঠলেও কোভিড পরবর্তী নানা জটিলতা দেখা দেয় তার। এই পরিস্থিতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে ৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে সরকার অনুমতি দেবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির তরফে বলা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন