শান্তা ফারজানা
আস্ত মুরগির রোস্ট। ঘি মশলায় লোভনীয়। একপাশে মটর পোলাও সফেদ বাসমতি চাল। সিরমিকের বাটিতে হাড়সহ গোশত। খাসি কিংবা গরুর। সাথে বাইন মাছের সুস্বাদু ভাজাও আছে। খুব আয়েশ করে খেতে থাকে পাপন। খেতে খেতে সালাদের বাটিটা কাছে টানে। বাহ্! কচি শসা পাওলা বারে কাটা, সাথে দেশি পেঁয়াজ। একটা কাঁচা মরিচে কামড় লাগায়। উম্...। শত ভাগ মজা আসছে এখন। মাথা দুলাতে দুলাতে খেয়েই চলে। একটু বোরহানী হলে দারুণ হতো। কচি আম আর টক দইয়ের। ওফ্! বু... য়া...।
ধড়মড়িয়ে উঠে আসে পাপন। চোখ কচলাতে থাকে। কোথায় গেল মোরগ পোলাও, কচি আমের বোরহানী। ধ্যাৎ! ঘাড়টা ব্যথা করছে। হয়তো উল্টোপাল্টা ঘুম হয়েছে। কিংবা ঘুমই হয়নি। পেটে ভীষণ ক্ষুধা। মাথাটাও ঝিম ধরে আছে। চাদর ছাড়া বেডিং। কভারবিহীন বালিশটা মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। পায়ের কুচকিতে ভীষণ চুলকাচ্ছে। ফুলে লাল টম টম। তোষকটাকে অনেকদিন রোদে দেয়া হয় না। খুব সম্ভবত ওতে ছারপোকারা পরিবার কিংবা সমাজতন্ত্র বানিয়ে বসে আছে। রাতে গা জ্বালিয়ে কামড় কাটে। পোকাগুলো এত অদ্ভুত যে চোখেও দেখা যায় না; যেন অদৃশ্য। কাঁধ চুলকাতে চুলকাতে মেজাজ খারাপ হয়ে যায় পাপনের। সামনের দেয়ালে লাগানো আয়নায় চুল আঁচড়াচ্ছে মনিরুল। পাপন-শফিক-মনিরুল মেসে রুমভাড়া করে থাকে। তিনজনই ব্যাচেলর। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটখাটো কাজ করে।
-মনিরুল, টাকার জোগাড় হল কিছু? তটস্থ কণ্ঠে প্রশ্ন করে পাপন।
-না রে, আজ হবে বলে মনেও হয় না।
-শফিক কোথায়?
-কী জানি! কিছুই তো বলে নাই, ফোনও করলো না। মনে হয় রেখার বাসায়...।
-অ...। আর কিছু বলে না পাপন। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কুটকুট করছে। চুলকাতে চুলকাতে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে যায়। হঠাৎ একটা ঢাউশ সাইজের খয়েরী পোকা গুটি গুটি হেঁটে চলে ঠিক ডান পায়ের পাশে। পাপনকে নড়ে চড়ে উঠতে দেখে তাড়াতাড়ি হাত-পা গুটিয়ে নেয়। পড়ে থাকে মরার মত। দেখলে কেউ বুঝবেই না এটা কী! ওটার অভিনয় দেখে মেজাজ চরমে ওঠে পাপনের। শালার হাত্তি! এত্তো রক্ত খাইলা এখন আবার অমিতাভ বচ্চন সাজো! বলতে বলতে হাতের কাছের আচারের বয়ামটা দিয়ে চেপে ধরে। পুটুস...। রক্ত বের হয়ে ভর্তা গলে যায় পোকাটা কাগজ দিয়ে বয়ামটা মুছে বিছানা ছাড়ে পাপন। গোসল সেরে পা বাড়ায় অফিসের পথে।
-আ্যই, তুমি শুনতে পাচ্ছ?
-উ... হু হু বল...।
-সত্যি করে বল তো মিনিটপনের হয়ে গেল ফোন করেছি, তুমি শুধু হু আর হ্যাঁ এসবই করছো। আর কিছু বলছো না যে? তোমার কী হয়েছে?
-না, না রুবি কিচ্ছু না। হুঁ কী যেন বলছিলে বল...।
-বলছিলাম বাপ্পার বান্ধবীর বিয়ে। ফ্রেন্ড সার্কেলের সবাই জাম বেগুনি শাড়ি পরবে। আম্মার অমন শাড়ি আছে। তবে ব্লাউজ বানাতে হবে আর জাম-সোনালি একটা কান গলার সেট লাগবে। বিকেল পাঁচটার পর তুমি যদি...।
-ও... আচ্ছা, আচ্ছা। রুবি, বাপ্পাটা যেন কে? মানে তোমার মামার ছেলে নাকি চাচাতো...।
-ধ্যাৎ...!
টু টু টু টু টু টু ...।
ওপাশ থেকে কেটে দিয়েছে। অ্যাত্তো অভিমান...। থাক। ফোনটা পকেটে রেখে দেয় পাপন। বাপ্পা... বাপ্পা। ভাবতে থাকে- ছেলেটা যেন কে? আর ওর বোনের বান্ধবীটাই বা কে? মনে করতে পারলো না সে। অফিসের বাহিরে এসে সিগারেট ধরাল। সকাল থেকে এই নিয়ে দুটো হল। পকেটে মাত্র বাকি একটা। পেটে এত বেশি ক্ষুধা যে মাথাটা ঝিম ধরে আছে। কাল রাত থেকে পেটে কিছুই পড়েনি। গত দুপুরে দুটো তন্দুরী আর সবজি এই শেষ। বাসায় ফিরে দেখে চাল নাই। মাসের সাথে সাথে খুচরা খাদ্যদ্রব্য যেমন বিস্কিট, কেক, কলা ইত্যাদি ইত্যাদিও শেষ। গুঁড়া দুধের একটা টিনের কোটায় পাপন অবশ্য প্রতিদিন ভাংতি কিছু টাকা পয়সা রাখে। শফিক-মনিরুলের প্রয়োজন হলেই ওখান থেকে ধার নেয়। আবার সুবিধামত রেখে দেয়। কথায় বলে, কপাল পুড়লে সব দিক থেকেই পোড়ে। ওই কোটাটাও কাল খালি ছিল। মনিরুলের পকেটটাও ফুটা। আর শফিকটাতো উধাও রীতিমত। নিজের পকেটে অবশিষ্ট মাত্র তের-চৌদ্দ টাকা।
অফিসে ফিরে আসে পাপন। সে একটা ছোটখাটো ফার্মে কাজ করে। ঢোকার পথে পশ্চিম পাশেই তার ডেস্ক। হাতলছাড়া কাঠের চেয়ারটাতে বসে বসে ভাবতে থাকে। টাকা-টাকা, কোথায় পাওয়া যায়। বেতন পেতে আর দিনতিনেক বাকি।
তি-ন-দি-ন! নাহ্। এভাবে থাকা অসম্ভব। ভাবতে ভাবতে মনে পড়ে। আরে রানা ভাই! গত মাসে বেতন পাওয়ার পরই বিভিন্ন খুচরা সমস্যায় জর্জরিত রানা ভাইকে সে পাঁচশত টাকার কড়কড়ে একটা নোট ধরিয়ে দিয়েছিল। একদমই মনে নেই। সে চায়নি আর রানা ভাইও কিছু...।
পাপন মাথা বাড়িয়ে রানা ভাইয়ের টেবিলের দিকে তাকায়। লোকটা ফাইল-পত্র নিয়ে ব্যস্ত। আস্তে আস্তে যায় তার টেবিলে।
-আরে পাপন সাহেব যে! কী অবস্থা, ভাই? ক্যালকুলেটরের বাটন থেকে চোখ না উঠিয়েই বলে মানুষটা।
-এই তো... তা আপনার কী খবর?
-আমার! চোখ থেকে চশমা খুলে সুন্দর করে হাসে মানুষটা। চলছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি।
-রানা ভাই যদি কিছু মনে না করেন...। একটু ইতস্তত বোধ করে পাপন। টাকাটা...।
-সরি ভাই... ভীষণ সমস্যায় আছি। যাকে বলে কিনা মাইনকা চিপায় আটকে গেছি আর কি। চিন্তা করবেন না ভাই, আগামী পরশু-তরশু বেতন পেলেই পেয়ে যাবেন। আমি অত্যন্ত দুঃখের...।
-আরে না না... ঠিক আছে। সরি ভাই, যদি পঞ্চাশ-ষাট টাকা হবে তো?
-ভাই, বিশ্বাস করেন আমার পকেটে মাত্র বার টাকা। দেখেন, দেখেন, বলে পকেট থেকে পাঁচ টাকার দুইটা নোট আর খুচরা পয়সাক’টা বের করে দেখালো। বাসায় ফেরত যাবার ভাড়া আর বাচ্চা মেয়েটার জন্য চকলেট এই...।
পাপন হাসির বিনিময়ে হাসি দিয়ে নিজের চেয়ারে গিয়ে বসে। মন খুবই খারাপ। পেটের মধ্যে এতোক্ষণ ইঁদুর লাফাচ্ছিল। এখন বোধহয় বাঘ-ভাল্লুকও লাফালাফি করছে।
-হ্যালো মনিরুল... টাকা পয়সার কিছু জোগাড় হইলো...?
-না রে... আজকে বোধহয়...।
না। শুনেই ফোনটা কেটে দেয় সে। ব্যালেন্স চেক করে। আর মাত্র ২ টাকা আছে। ধ্যাৎ ...! পা ঝাঁকিয়ে, চুল হাতিয়ে, ঠোঁট কামড়ে, অযথাই ফাইলপত্র ঘেঁটে ঘেঁটে সময়টা পার করলো সে। ঘড়ির কাঁটাও শক্র বনে গেছে। চলতেই চাচ্ছে না আর। জ্যৈষ্ঠ মাসের শুকনো ফাটা ক্ষেতের মত শুকিয়ে আসে পাপনের পেটের নাড়িভুঁড়ি। জ্বলতে থাকে চুঁ চুঁ করে। ঘড়িতে ঘণ্টা-মিনিট-সেকেন্ড একটা বাজার নির্দেশ দেয়। পাপনও একলাফে চেয়ার ছেড়ে দাঁড়ায়। অফিস বলে কথা নতুবা সুপার ম্যানের মত উড়ে উড়ে বেরিয়ে যেত এই চার দেয়াল থেকে। হাঁটতে হাঁটতে সোজা এগিয়ে যায় মোড়ের দিকে। সেখানেই কোনায় মধু মিয়ার দোকান। ছোট্ট। টিনশেডের। কোথা থেকে যেন দুটো বেঞ্চি জোগাড় করেছে মধু মিয়া। দুটোতেই কয়েকটা করে ফুটো।
-স্যার, শরীরটা ভালো? বাসার সবাই ভালো? আপনার আব্বা-আম্মা-ভাই-বোন সবাই ভালো আছে?
ওর প্রশ্ন শুনলে খুবই মায়া লাগে। এভাবে আর কেউ জিঞ্জেস করে না কিনা। অফিসের ৪-৫ জন এ দোকানের রেগুলার খদ্দের। কেউ যদি তাকে প্রশ্ন করে- কি রে, তোর নাম মধু কেন রে? তাহলে সে মিষ্টি হেসে উত্তর দেবে- আমার জন্মের সময় মৌমাছি ঘরের আমপাশে ঘুরঘুর করতাছিল তো সেজন্য আম্মা আমার নাম মধু রাখছে।
পাপন দ্রুত পা চালায়। দুপুরের ব্রেকটা আজ মধুর ওখানেই কাটাতে চায়। পাউরুটি-কলা আর এক গরম গরম চা। ব্যস,্ বাকিতে যেতে হবে অবশ্যই। কিছুটা পথ যেতেই বিহ্বল হয়ে পড়লো। চোখ কচলে নিয়ে আবারও তাকাল। দোকান বন্ধ! রাগে দুঃখে অভিমানে অফিসের দিকে পা বাড়ালো সে।
জহির সাহেবের পেটমোটা লাঞ্চ বাক্সটা তার চেয়ারের পেছনেই ঝুলছে। সিনিয়র ভদ্র মানুষ। স্ত্রী-সংসারে বর্তমান স্বামী। সঠিক সময়ে আসেন, সঠিক সময়ে যান। মাঝের সময়টা কর্মব্যস্ত থাকেন; এতটাই বেশি যে তাকে যদি কেউ চেয়ার থেকে উঠিয়ে স্বর্গে পাঠিয়ে দেয় তবুও তিনি হিসাবই কষতে থাকবেন। তার দুপুরের খাবার খেতে খেতে প্রায়ই দুপুর আড়াই-তিনটা এমনকি সাড়ে তিনটা বেজে যায়। আজও তিনি কর্মসাগরে ডুবে আছেন। কোন দিকেই খেয়াল নেই। পাপন আড়চোখে বারকয়েক তার বাক্সটার দিকে তাকালো। জহির সাহেবের ঠিক কাছেই সুরমা কাজ করছে। মেয়েটা দিনে ১০-১৫ বার ওয়াশরুমে যায়। তাও আবার ভ্যানিটি ব্যাগটা কাঁধে করে নিয়ে যায়। পাপন বুঝতে পারে না মেয়েটার কী ডায়াবেটিস নাকি মেকআপ ঠিক করতে যায়।
পাপন ভাবতে থাকে সুরমা যখনই চেয়ারটা ছাড়বে তখনই জহির সাহেবের বাক্সটা...। খিদের চোটে কেমন বমি বমি লাগছে। গলায় টক টক ভাব। ও-য়া-ক! বোধহয় শব্দটা একটু জোরেই হয়ে গিয়েছিল। ওইপাশে চেয়ার থেকে আকবর সাহেব উঠে আসেন।
-কী ব্যাপার, পাপন সাহেব, আপনার কি শরীর অসুস্থ নাকি?
রানীক্ষেতে আক্রান্ত মুরগির মত ঝিম মেরে থাকে পাপন।
জবাব না পেয়ে আকবর সাহেব আরো কাছে এসে দাঁড়ান। ভাই, সারাদিন আপনার মুখটা শুকনো ছিল, একটু অন্যমনস্কও। এখন আবার বমি বমি ভাব। ছুটি নিয়ে নেন না। আর তো মাত্র দুই ঘণ্টা বাকি...। কথাগুলো বলে আকবর সাহেব নিজেই স্যারকে বলে পাপনের জন্য অনুমতি নিয়ে আসেন।
মতিঝিল থেকে পায়ে হেঁটে পল্টন। বাসে চড়ে ফার্মগেইট। বাসের কন্ডাক্টরকে মামা-চাচা বলে একটা টাকা বাঁচাতে পেরেছে। আর আছে মাত্র দশ কি এগারো টাকা। ফার্মগেটের মোড়ে বাতাসে খাবারের সুঘ্রাণ। বিভিন্ন ধরনের কাবাব, চপ,সিঙ্গারা, রোল, সমুচা। নানাপদের খাদ্যদ্রব্যের সুস্বাদু ঘ্রাণ তার আহত নাকে সুড়সুড়ি দিতে থাকে। পাপনকে শান্তনা দেয় পাপন নিজেই। মনে মনে। মোড়ের বাস স্টপে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে। পকেটটা প্রায় খালিই। আর মোবাইলে মাত্র দুই টাকা। একটাই ফোন করা যাবে। কী করা যায়...। বাসায় গেলেও কাহিনী পরিবর্তন হবে না। এক বন্ধু অবশ্য আছে, খামার বাড়ি। নাহ্... উল্টো পাওনা ফেরত চেয়ে বসতে পারে। পাপনের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। হঠাৎ মনে পড়ে ফুফুর কথা। আব্বার খালাতো বন। উত্তরায় তাদের বাড়ি-গাড়ি; কঠিন অবস্থা। পাপনকে তিনি অনেক আদর করেন। ফোনটা হাতে নিল সে। ০১৭১...।
-হ্যালো?
-হ্যালো, ফুফু... পাপন। মোবাইলে টাকা নাই। আমি আসতেছি। আমার হাত একদম খালি, ফুফু। কিছু টাকা ধার দিয়েন।
-পাপন, শোন, আমরা তো একটু ঢাকার বাইরে আছি। সামনের বুধবারে...।
বলতে বলতেই লাইন কেটে গেল। পাপনের খুব জানতে ইচ্ছা হল ঢাকার বাইরে কোথায় আছেন তার ফুফু। সে ট্যাক্সি নিয়ে চলে যাবে। টাকা নিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া শোধ করে সেখানকারই কোন হোটেল-রেস্টুরেন্টে পোলাও-কোরমা খাবে। ভাবনাগুলো দীর্ঘশ্বাস হয়ে মাটিতে মিশে গেল। কষ্টে দুঃখে নিজেই নিজের মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করছে। মন চাচ্ছে চেঁচিয়ে কাঁদে। হঠাৎ মনে হল মাথা ঘুর পড়ে যাবে। আর মরে যাবে। আগামীকাল সকালে পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত খবর... ছোট এক কলামে... ধ্যাৎ... মরে তো জাহান্নামেই যেতে হবে। সেখানেও খাবার টাবার নেই। সে ফার্মগেইটের আইল্যান্ডের বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকে। বুক পকেটে হঠাৎ বেজে উঠে রিংটোন। বাজতেই থাকে, বাজতেই থাকে। মনের দুঃখে ফোনটা রিসিভ করে না। বিকাল পাঁচটা বেজে ত্রিশ; হয়তো রুবি। ফোন রিসিভ করলেই বলবে ‘কেন তুমি আসলানা; জাম সোনালি গহনা কেনার কথা ছিল।’ বাপ্পার বোনের বিয়ে নাকি যেন মায়ের বিয়ে। ধুত... এত ঘ্যানঘ্যানানি শুনতে ইচ্ছা করছে না। ফোনটা বাজতে বাজতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
স্ক্রিনে অপরিচিত নাম্বার... হ্যালো...।
হ্যালো পাপন, আমি শফিক। দোস্ত, তোরা নাকি কাল থেকে না খেয়ে আছিস। সরি রে... শোন্... তাড়াতাড়ি বাসায় আয়। কিছু টাকা ম্যানেজ করা গেছে। আজ আমরা বাসাতেই মোরগ পোলাও উৎসব করবো। জলদি আয়। এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফোন কেটে দিল শফিক।
পাপন অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে স্ক্রিনের দিকে, তাকিয়েই থাকে ...।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন