বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা থেকে আরও এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ওই নাগরিকের নাম রূপসা রায় (৪০)। গত শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর ৯৯ কম্পোজিট বিগ্রেডের অধীনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যরা পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে তাকে জাজিরা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, ওই ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গুজরাটের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। জাজিরা থানায় তার বিরুদ্ধে ১৯৫২ সালের বাংলাদেশ কন্ট্রোল অফ এন্ট্রি অ্যাক্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। এর আগে গত বুধবার রাতে ওই এলাকা থেকে বিজয় কুমার রায় (৪২) নামে একজন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের বাসিন্দা। জাজিরা থানায় মামলার পর তাকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, ২৩ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে এলপিজি গেট এলাকা থেকে ভারতীয় নাগরিক সন্দেহে একজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কন্ট্রোল অফ এন্ট্রি অ্যাক্ট আইনে মামলার পর আদালতে পাঠিয়েছে জাজিরা থানা পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তা মিন্টু মন্ডল জানান, পদ্মা সেতু এলাকায় সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে সেনাবাহিনী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু তার ভাষা এবং চালচলন সন্দেহজনক হওয়ায় জাজিরা থানায় তাকে হস্তান্তর করে তারা। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওই ব্যক্তি হিন্দীতে কথা বলেন। যতটুকু বোঝা গেছে, ৪২ বছর বয়সী ওই আসামির নাম বিজয় কুমার রায়। মিন্টু মন্ডল বলেন, এসআই অপু বড়ুয়া বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে জাজিরা থানায় বাংলাদেশ কন্ট্রোল অফ এন্ট্রি অ্যাক্ট আইনে মামলা করছেন। এর দুই ঘণ্টার ব্যবধানে অভিযোগপত্র দাখিল করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শরীয়তপুর জেলা কারাগারে অতিরিক্ত জেলারের দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বলেন, কোয়ারেন্টিনের জন্য আমাদের আলাদা একটি ওয়ার্ড আছে। কারাগারের নতুন যে আসামীরা আসে তাদেরকে সেই ওয়ার্ডে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার পর অন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তি যেহেতু ভারতীয় নাগরিক তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে তার করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন