চাঁদপুরে আছমা বেগম নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর হাসপাতালে লাশ রেখে পালিয়ে যায় স্বামী তাজু গাজী। গতকাল সোমবার সকালে শহরের পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদীতে এ ঘটনাটি ঘটে। পরিবারের দাবি আছমা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আছমা বেগমের ভাই মো. রাজু মিজি জানায়, আমার বোনের সাথে তাজু গাজীর ২৮ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিল। আমার বোনের ঘরে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। বড় ভাগিনা তুষার বিদেশ থেকে কিছু দিন হলো দেশে এসেছে। বোন জামাই তাজু গাজী ২/৩ বছর হল আরেকটি বিয়ে করে। এ নিয়ে শুরু হয় অশান্তি। আমার বোনকে বেশ কয়েকবার মারধর করেছে। তখন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলাও হয়েছিলো।
স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়েছে। সালিশে ২য় স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তাজু গাজী আমার বোন আছমা বেগমের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ২য় স্ত্রীকে তালাক দেয়। কিছুদিন যেতে না যেতে তাজু গাজী পুনরায় আবারো ২য় স্ত্রীকে নিয়ে নতুন বাজার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। গত দু’দিন আগে ২য় স্ত্রীকে বাড়িতে আনবে বলে ঝগড়া করে বড় ছেলে তুষার ও ছোট ছেলে টিপুকে বাড়ি বের করে দেয় তাজু গাজী।
গতকাল সোমবার সকালে খবর পাই আমার বোন অসুস্থ। বাড়িতে গিয়ে আমার বোন আছমা বেগমকে নিয়ে প্রথমে প্রিমিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। মেয়ে তামান্না জানায়, গত রোববার রাতে আব্বা মার সাথে ঝগড়া করে। আমরা কেউ ভয়ে কাছে যাই নি।
ছোট ছেলে মো. টিপু জানান, আমার বাবা ২য় বিয়ে করেন। শান্তির ঘরে অশান্তি করতে থাকে। আমাদের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়ে ২য় স্ত্রীকে ছেড়ে দিবে বলেন।
এখন আবার নতুন বাজার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তার ডা. নূর হোসাইন বান্না জানান, সোমবার দুপুর ১টায় আছমা বেগম নামের একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। পরিবারের লোকজন ধারণা করছেন বিষ খাওয়ানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন