ঢাকার ধামরাইয়ে পল্লী বিদ্যুত অভিযোগ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই বালিথা গ্রামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে গেল গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরিহিত ডাকাতরা ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বাড়ির লোকজনদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেধে প্রায় ঘন্টাব্যাপী তান্ডবলীলা চালিয়ে স্বর্নালঙ্কার, মোবাইল সেট ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
আজ বুধবার সকালের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।
সরেজমিনে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি বালিথা গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের বাড়িতে বাড়ির দেয়াল টপকে হাফপ্যান্ট ও মুখোশ পরিহিত ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। ঘরের কলাপ্সিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে প্রথমে নজরুল ইসলামের মায়ের ঘরে ঢুকে মাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। অপর রুমে গিয়ে ভাই মোশাররফ হোসেন দ্বিতীয় তলায় গিয়ে অপর ভাই মহসিন আলম মিন্টুর রুমে ঢুকে তাদেরকে মুখ হাত পা বেঁধে রাখে। পরে আলমারি ভেঙে নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ২ টি দামী মোবাইল সেট ও কিছু বিদেশী ডলার লুট করে নিয়ে গেছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, রাতে আমি বাড়ি ছিলাম না। আমার দুই ভাইকে হাত মুখ বেধে রাখে এবং মাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা,মোবাইল সেট, অলঙ্কারসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মতো মালামাল নিয়ে যায়। তবে কাউকে চিনতে পারে নি।
এ বিষয়ে সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, এটাই আমার ইউনিয়নে বড় ধরনের একটি ঘটনা। আমি পুরো ইউনিয়নে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করিতেছি। আমি নিজেও মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি।
অপরদিকে দেপাশাই গ্রামে মাই টিভি প্রতিনিধি আব্দুর রশিদ তুষারের মালিকানাধীন মার্কেটে ও মুখোশধারী ডাকাতেরা হানা দেয়। একালাবাসী ডাকাতদের ধাওয়া করলে ডাকাতরা চলে যায়।
উল্লেখ গত ২৪ জুন রাতে বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে পল্লী বিদ্যুতের অভিযোগ কেন্দ্র ও সাবষ্টেশন অফিসে পোষাক পরিহিত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
ডাকাতরা অফিসের স্টাফদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত পা বেধে ও মারধর করে ৬টি ট্রান্সফরমার,তার ,কম্পিউটার, নগদ টাকা, ও মোবাইল সেট কাপর-চোপরসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন