লোহাগাড়ায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। রাস্তা-ঘাট, মাছের প্রজেক্ট-পুকুর এবং আমন ধানের বীজতলা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আধুনগর, পুটিবিলা, চুনতি ও বড়হাতিয়া ইউনিয়নে। বর্তমানে ওই এলাকার কিছু মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পুটিবিলা ইউনিয়নের এম চর হাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির ফারুক মিয়ার তিনটি ও দিদারের মাছের প্রজেক্ট তলিয়ে গেছে।
অতিবৃষ্টিতে ডলু নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় খাল পাড় ভেঙে আধুনগর ইউনিয়নের সিপাহী পাড়া-সর্দানী পাড়ার সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়াও ইউনিয়নের আখতারিয়া পাড়া, কাজীর পাড়া, রুপবান পাড়া, মৌলভী পাড়া, মিয়া পাড়া, চৌধুরী পাড়া, গাটিয়া পাড়া, সিপাহী পাড়া, সর্দানী পাড়া, দক্ষিণ হরিনা এলাকা পানিতে ডুবে গেছে। হাতিয়ার খালের পাড় ভেঙে রুস্তমের পাড়া, ওজা পাড়া, মরা ডলুকুল, ছেদিরপুনি বড়ুয়া পাড়া পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। এছাড়াও গ্রামীণ সড়ক, কৃষকের আমন ধানের বীজতলা ও মৎস্যজীবীদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবারের কাছে চাল, ডাল, মুড়ি, চিনি, বিস্কুট, পাউরুটিসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার পৌঁছে দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের জন্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। বড়হাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা খালেদ দেওয়ান জানান, ইউনিয়নের চাকফিরানী এলাকার প্রায় ৪০টি মাছের প্রজেক্ট তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে তিনি জানান।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান হাবিব জিতু বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের চাল, চিড়া, ডাল, মুড়ি, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও নগদ অর্থ সহযোগিতার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন