সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে ফাঁকা চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট। শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে কলকারখানা বন্ধ থাকায় জনসমাগম নেই। জুমার আগে পর্যন্ত কাঁচা বাজারে মানুষের কিছুটা ভিড় ছিল। রাস্তায় রিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। চলছে ব্যক্তিগত গাড়ি। নেই কোন গণপরিবহন।
রাস্তাঘাটে মানুষ বের হলেই আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। ভোর থেকে বিভিন্ন প্রবেশপথে তল্লাশি শুরু করে সেনাবাহিনী। সিটি করপোরেশন এলাকায় সেনাবাহিনীর ৬টি টিম কাজ করছে।এছাড়াও বিজিবির ৬টি টিম নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে। মাঠে আছে পুলিশও।
ভোর থেকে দৈনন্দিন কাজে মানুষ বের হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের চলাচল কমে যায়। সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্বে আছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। লকডাউনের প্রথমদিনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৩৭টি মামলায় ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার থেকে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ আরোপ করেছে সরকার। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকছে। তবে গণমাধ্যমসহ কিছু জরুরি পরিষেবা এ বিধিনিষেধের বাইরে রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন