সর্বাত্মক লকডাউনেও চট্টগ্রামে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে নগরীর উম্মুক্ত স্থান ও অলিগলিতে বেড়ে যায় ভিড়, জটলা, আড্ডাবাজি। সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই দেখা যায়নি। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্ব। বিকেলে নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোডে অসংখ্য তরুণ কিশোরের ভিড় দেখা যায়। তারা সেখানে ঘুরে বেড়ানো পাশাপাশি আড্ডায় মশগুল। একই চিত্র নগরীর কাজির দেউড়ি, কর্ণফুলী সেতু, মেরিনার্স রোড, বায়েজিদ লিং রোড, পতেঙ্গা সৈকত, সিটি আউটার রিং রোডসহ নগরী খোলা স্থানগুলোতে।
তবে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকে ফাঁকা ছিলো চট্টগ্রামের রাস্তাঘাট। সরকারি ছুটির দিনে কলকারখানা বন্ধ থাকায় জনসমাগম ছিলো না। নগরীর প্রতিটি প্রবেশ পথে সেনা বাহিনী ও পুলিশের চেক পোস্টে তল্লাশি চলে। এসব এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজনের জটলা দেখা যায়। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে পড়েন তারা। নগরীর আগ্রাবাদ, জিইসি মোড়, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, নিউমার্কেট, ইপিজেড এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও প্রধান প্রধান সড়ক ছিলো প্রায় ফাঁকা। রিকশা চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করে। প্রতিটি মোড়ে ছিলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল। রাস্তায় নেমে তাদের জেরার মুখে পড়তে হয় লোকজনকে। যারা ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ বলতে পারছেন তাদের যেতে দেয়া হয়েছে। কারণ বলতে না পারায় অনেকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।
জুমার আগে পর্যন্ত কাঁচাবাজারে মানুষের কিছুটা ভিড় ছিল। সকালে নানা প্রয়োজনে লোকজন রাস্তাঘাটে বের হয়। বিকেলে শুরু হয় অলিগলির আড্ডা, অহেতুক ঘোরাফেরা। নগরীর খোলা মাঠ এবং উম্মুক্ত স্থানগুলোতে লোকজনকে ঘুরতে দেখা যায়। ভোর থেকে নগরীর বিভিন্ন প্রবেশপথে তল্লাশি শুরু করে সেনাবাহিনী। সিটি করপোরেশন এলাকায় সেনাবাহিনীর ৬টি টিম কাজ করছে। এছাড়াও বিজিবির ৬টি টিম নগরজুড়ে টহল দিচ্ছে। মাঠে আছে পুলিশও। জেলা প্রশাসনের ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন নগরীতে। উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্বে আছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনাররা (ভূমি)। গতকালও স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের দায়ে মামলা এবং জরিমানা আদায় করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন