আষাঢ় মাসের তৃতীয় সাপ্তাহ চলছে। এখনো ভরাবর্ষা আসেনি। ইতোমধ্যেই তিস্তা, যমুনাসহ কয়েকটি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে উঠেছে। ফেনি, সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কয়েকটি সড়কে পানি উঠেছে। হুমকির মুখে পড়েছে মাতামুহুরিসহ কয়েকটি সেট প্রকল্প। সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টে নদীরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। অথচ এখনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের অভাবে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে দেশের ৩০টি জেলার ২০০টি উপজেলা শহররক্ষা বাঁধ। দেশের নদ-নদী প্রবাহিত এলাকায় তীব্র ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ২৫০টি পয়েন্ট। ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে ধরলা নদীর সারডোবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট জেলখানা ঘাটের প্রায় ১০০ মিটার যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া আরো সাড়ে ৯শত মিটার বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
বন্যার পানির চাপে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের মূল বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে। দেশের বিভিন্ন এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামতের চেষ্টা করছেন স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন। তবে অনেক জেলায় এখনো পাউবো এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নের মধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও বেড়িবাঁধ মোরামত ও সংস্কারে পদক্ষেপ নিলেও নদীতে তীব্র স্রোতে বাঁধ পানিতে ভাসছে। প্রতিবছর ধসে যাওয়ার পর থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনরাত কাজ করে সেখানে জিও ব্যাগ, সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়েও কেন বন্যা ঠেকানো যাচ্ছে না তা বলতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। শহররক্ষা বাঁধের ভাঙন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষা বা তদারকির দায়িত্ব যে সংস্থার, সেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, নদীতে যখন পানি আসে তখন দুই দিকের পানির লেভেলের তারতম্যের কারণে পানি চুইয়ে আসে। একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত মাটির বাঁধগুলো বন্যা ঠেকাতে পারে। কিন্তু এর বেশি হলে সেটা ভেঙে যায়। আবার অনেক সময় বাঁধের ভেতর ছোট ছোট ফাঁকা থাকে। সেটা নানা কারণেই হতে পারে। পানি বা বাতাস চলাচল, ইঁদুরের যাতায়াত অনেক কারণে হতে পারে।
হঠাৎ তিস্তার পানি কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের মুখে পড়ে লালমনিরহাটের সলেডি স্প্যার বাঁধ-২। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে একাই বাঁধ পরিদর্শনে নদীর পাড়ে যান জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে বলা হয়, দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের ১০১টি পানির সমতল পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে গতকাল শুক্রবার ৬৩টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩৭ স্থানে হ্রাস পায়। বৃহস্পতিবার নদ-নদীর ৭৮টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ২২টিতে হ্রাস পায়। বুধবার ৭৫টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ২২টিতে হ্রাস পায়। মঙ্গলবার ৬১টি পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি ও ৩৩টিতে হ্রাস পায়। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমেছে। নদ-নদীসমূহের প্রবাহ পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে গতকাল পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অপরিবর্তিত রয়েছে, তবে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় নদীর পানি আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। অন্যদিকে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
বাংলাদেশ পানিউন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক ফজলুর রশিদ বলেন, নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক বেড়িবাঁধ। গত বছর কিছু বাঁধের মেরামত করা হয়েছে। বাঁধ ধসে যাওয়ার পর থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনরাত কাজ করে সেখানে জিও ব্যাগ, সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে। কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়েও কেন বন্যা ঠেকানো যাচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, তা বলতে পারছি না।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের ধসে যাওয়া স্থান পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার পরিদর্শন করেছেন। পরির্দশন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, শহররক্ষা বাঁধের ভাঙন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ নিয়ে সিরাজগঞ্জবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ধসে যাওয়ার পর থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড দিনরাত কাজ করে সেখানে জিও ব্যাগ, সিসি ব্লক ফেলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখনো ভাঙন স্থানে কাজ করা হচ্ছে। এ সময় জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট জেলখানা ঘাটের প্রায় ১০০ মিটার এলাকা ধসে যায়। সিরাজগঞ্জ শহরকে যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০০১ সালে ৩৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
মাতামুহুরী নদী ও পাহাড়ি ছরায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। ফলে কমিউনিটি ক্লিনিক ও মসজিদসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। বাড়ি-ঘরে পানি প্রবেশ করায় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলাম বেবু জানান, উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শুক্রবার সকালে জেলার ১৬টি নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়ার ফলে ধরলা ও তিস্তার ৫০টি চরের নিচু এলাকার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার পাট, ভুট্টা, আউস ধান, বীজতলা ও সবজি ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। ধরলার ভাঙনে সারডোবে বিকল্প বাঁধের অবশিষ্টাংশ ভেঙে পানি ঢুকছে। ফলে ভাটিতে থাকা ১৫টি গ্রাম নিমজ্জিত হয়েছে। এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে যোগাযোগ। পানি বাড়ার ফলে তিস্তার গাবুর হেলান, খিতাবখা, ধরলার সারডোব, পাটেশ্বরীসহ কয়েকটি পয়েন্টে নদীভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। সারডোবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, যে কোনো মূল্যে বিকল্প বাঁধের বাকি অংশ রক্ষা করা হবে।
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি ও লাগাতার বর্ষণে চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত ৪ দিন থেকে থেমে থেমে বর্ষণ ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর, চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যার পানি বেশি ঢুকেছে হরিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে।
সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে : যমুনায় একদিনে ৪৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি, নিম্ন এলাকা প্লাবিত। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সকালে ছিল ১১.৯৪ সেন্টিমিটার সেখানে দুুপুরে ১২.০৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। তবে পানি এখনো বিপদসীমার ১ দশমিক ৪১ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্টাফ রির্পোটার মাদারীপুর থেকে জানান : টানা কয়েকদিনের অব্যাহত প্রবল বর্ষণে মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ ও পদ্মা নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবল বর্ষণে বিশেষ করে মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদী সংলগ্ন চরজানাজাত কাঠালবাড়ী বন্দরখোলা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকা কিছুটা প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি ৪.৩ সে:মি: বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২.৬৭ সে.মি: নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম সাহা জানান, পানি বৃদ্ধিতে নদী ভাঙনরোধে পানি উন্নয়নবোর্ডের সতর্কতামূলক নজরদারি রয়েছে বলেও তিনি জানান।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের চরমাধবদিয়া, ডিক্রীর, নর্থচ্যানেল, অম্বিকাপুরের নিম্নাঞ্চল এবং উপশহরের মডেল টাউনের রাস্তাঘাটসহ আশপাশের বাসা বাড়ীতে হাঁটুর উপর হতে কোমর পরিমাণ পানির জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। গত ২ দিনের রাত দিনের টানা বর্ষণে জনজীবন থমকে গেছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গত কয়েকদিনে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদীতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতেকরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙনে লঞ্চঘাট হতে ১নং ফেরিঘাট এলাকার মধ্যে ৩টি পয়েন্টে অন্তত ৫০ মিটার এলাকার জিও ব্যাগ ধসে গেছে। এতেকরে ওই এলাকায় বড় ধরনের ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ফেরিঘাটসহ সংলগ্ন মজিদ শেখের পাড়ার দেড় শতাধিক পরিবার।
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, অতিবৃষ্টিতে ভারতের উজানের ঢল অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে দেশের অভ্যন্তরে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ, কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে দেশের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি ফুলে-ফেঁপে উঠছে। পানি বৃদ্ধির সাথে দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও ভাটির দিকে অনেক জায়গায় নদ-নদীর ভাঙন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সুরমা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র পূর্বাভাসে গতকাল জানায়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য অববাহিকায় প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এর উজানে চৌরাহা মাদরাসা এলাকায় ৬টি বসতভিটা ও কয়েক একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। পূর্বপাড়া গ্রামে গত দুই দিনে ২-৩টি বাড়ি তিস্তায় বিলীন হয়ে গেছে। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, স্প্যার বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় জিও ব্যাগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে জমা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলেই ব্যবস্থা নিতে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্ষাকাল নদীপাড়ের জেলা হিসেবে আমাদের বন্যা মোকাবিলা করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন