রাত প্রায় সাড়ে ১১ টা। খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তার মোড় এলাকা। স্বাভাবিক সময়ে খুলনা থেকে ঢাকাগামী নৈশকোচগুলোর কারণে এ রাস্তা দিয়ে চলা দায় হয়ে পড়ে। দূর দূরান্ত থেকে আসা সারি সারি পণ্যবাহী ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে ভোরের আলো ফুটলে শহরে ঢুকবে বলে। পরিবহণের টিকিট কাউন্টার, রাস্তার দু ধারের আলো ঝলমলে হোটেল রেস্টুরেন্ট আর চা ও মুদি দোকানগুলো থাকে লোকে লোকারণ্য।
চিরচেনা এ দৃশ্যপট বদলে গেছে করোনার কঠোর লকডাউনে। পুরো রাস্তা ফাঁকা। একটা রিকশা পর্যন্ত নেই। খোলা নেই কোন দোকানপাট। পথচারীও নজরে পড়ছে না। সামান্য কিছুদূর এগিয়ে দৌলতপুর বাজারের সামনে দেখা গেলো একটি পুলিধ পিকআপের। সারাদিন লকডাউনের ডিউটির পর এখন অতিরিক্ত ডিউটি চলছে তাদের। আরেকটু সামনে একটি বেসরকারি ব্যাংকের বুথে পাহারার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীকে পাওয়া গেলো আধো জাগা আধো ঘুম অবস্থায়। বিপরীত পাশের ফুটপাতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে দু তিনজন ছিন্নমূল মানুষ ঘুমিয়ে আছে জীর্ণ চাদর গায়ে দিয়ে। করোনা কী, তা হয়তো তাদের জানা নেই।
টহলে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানালেন, আইন শৃংখলা বাহিনীর গাড়ি ও এম্বুলেন্স ছাড়া রাতের সড়কে এখন কোন ধরণের যানবাহন চলাচল করছে না বললেই চলে। রোগী পরিবহণসহ বিশেষ দু একটি জরুরী ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে ছাড় দেয়া হচ্ছে। দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা সমান ভাবে কঠোর লকডাউন কার্যকরে পুলিশ কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন