শেরপুরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনেও সড়কে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান রয়েছে। জেলায় ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে শক্তিশালী জেলা পুলিশের সঙ্গে আছে ১শ সেনাবাহিনী, ২ প্লাটুন বিজিবি ও ১ প্লাটুন আনসারসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হোটেল-রেস্তোরাঁ, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
রবিবার ৪ জুলাই সকাল থেকে শেরপুরের বেশ কিছু সড়ক ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি টহল দিচ্ছে সড়কে। যারা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া বের হয়েছেন তাদের অনেককে জরিমানার মুখে পড়তে হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার নির্দেশনা না মানায় ৬১ জনের কাছ থেকে ১লাখ ৪৯ হাজার ৩০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত তিনদিনে জেলায় মোট ১৯২ টি মামলায় ২লাখ ২৯ হাজার ৯শ ৩০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদিকে, লকডাউন বাস্তবায়নে এসব কার্যক্রম তদারকি করতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসান নাহিদ চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জেলা প্রশাসক মোমিনুর রশীদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় শুধু প্রশানের ওপর বসে থাকলে চলবে না। সমাজের সচেতন মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে। করোনা সংক্রমণের হার কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানেই থাকবে। এ সময়টাতে সবাইকে ঘরেই থাকতে হবে। বিনা কারণে কেউ ঘরের বাইরে আসবেননা। তবে যাদের খাদ্য সংকট হবে তারা যদি আমাদের জানান তাহলে তাদের খাদ্যসহায়তা দেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মোঃ হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, পুলিশ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছে। যারা সরকারী বিধি নিষেধ মানছেননা শুধু মাত্র তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করেছ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন