করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড হরিতলা এলাকার প্রফুল্ল কর্মকার (৬০) গত শনিবার কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে মারা যান। অ্যাম্বুলেন্সে লাশ যখন শ্মশানে পৌঁছায় তখন মধ্যরাত। সেই সময় শ্মশান প্রাঙ্গণে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিজ নিজ বাড়িতে। শ্মশান গেট তালা। দায়িত্বপ্রাপ্তরা তালার চাবি দিলেও শ্মশানে আসেননি। কারণ মৃত ব্যক্তি ছিলেন করোনা আক্রান্ত।
লোকজন না থাকায় শ্মশানে লাশটি নামানো সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে লাশ নামিয়ে ফেরত যায় অ্যাম্বুলেন্সচালক। শ্মশানের পাশে গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় স্বামীর লাশ সৎকারের জন্য মধ্যরাত থেকে সকাল অবধি অপেক্ষা করেও লাশ সৎকারে শ্মশান কমিটি বা নিজ আত্মীয়-স্বজনের সাহায্য না পেয়ে কয়েকজন মুসলিম ব্যক্তির সহায়তায় ওই লাশ মাটিচাপা দেন।
এ ব্যাপারে মৃত প্রফুল্ল কর্মকারের স্ত্রী কল্পনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রফুল্ল কর্মকারের পরিবারের অন্য সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত। সে কারণে তার পরিবারের সদস্যরা লাশ সৎকার করতে পারেননি। তবে হিন্দু সম্প্রদায়ের কেউই লাশটির সৎকার করার জন্য এগিয়ে আসেননি। পরে সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজনের সহায়তায় তাকে সমাহিত করার ব্যবস্থা করেন।
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, বিষয়টি জানার পরপরই পৌর মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবহিত করেন। তারা স্থানীয় লোকজনকে দিয়ে সমাহিত করার কাজটি সম্পন্ন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন