কুষ্টিয়ায় করোনাযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সেই ছাত্রলীগ কর্মীদের দুজনের উপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার রাতে করোনা ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের প্রধান গেট ও পাশের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের সামনে ঘটনা ঘটে। তবে রাতে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আহত দুজন হলেন, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ হৃদয় (২৩) ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র সামিউল হক ওরফে সম্রাট (২২)।
জানা যায়, হৃদয়ের শরীরে শক্ত কিছু দিয়ে পেটানো হয়েছে। অন্য দিকে ছুরি দিয়ে সামিউলের মাথা, গাল, হাত ও পিঠ কেটে দেওয়া হয়েছে। মাথা ও গালে সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ২৫০ শয্যা করোনা ডেডিকেডেট হাসপাতালের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, দুজনেরই আঘাত গুরুতর। তবে তাঁরা শঙ্কামুক্ত। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে করোনাকালে ২৫০ শয্যা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ ওরফে চ্যালেঞ্জের নেতৃত্বে ৬৫ জন কর্মী করোনা রোগীদের সেবায় ২৪ ঘণ্টা সহযোগিতা করে আসছেন।
কারা হামলা করেছে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হৃদয় ও সামিউল কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান। তবে তাদের ধারণা, গত রোববার হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক রোগীর স্বজনের সঙ্গে কিছু স্বেচ্ছাসেবকের তর্কাতর্কি হয়। তাঁরা বাইরে বের হলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। রাতে তাঁদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাঁরা পলাতক। তবে শিগগিরই তাদের আটক করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন