শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৩৯ ঘণ্টা পর রূপগঞ্জের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১:৩৯ পিএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারাখানার আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এখন ষষ্ঠতলায় আগুন ডাম্পিংয়ের কাজ চলছে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে আগুন জ্বলার কারণে ভবনের পঞ্চম তলার ছাদের একটি অংশ ধসে পড়ে পুরো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তাই তাদের অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করতে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভির কর্মীরা টানা চেষ্টা চালিয়ে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছয়তলা ভবনে মালামাল রক্ষিত ছিল। যে কারণে পুরো ছয়তলাটি ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বিপুল পণ্য থাকার কারণে ভেতরে এখনও আগুন জ্বলছে। বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেই আগুন নিভিয়ে ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন। পাঁচ তলায় ভবনের একটি অংশ ভেঙে পড়ায় ছয় তলায় আমাদের কাজ করতে হচ্ছে খুব ঝুঁকির মধ্যে।

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) ও তদন্ত কমিটির প্রধান লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, সেজান জুস কারখানার ভেতরে মেশিন ও কেমিক্যাল একসঙ্গে রাখার কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে। কারণ কারখানার প্রতিটি ফ্লোরে কেমিক্যাল স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের এ কারণেই আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ ও প্লাস্টিক, ফয়েল কাগজ, কার্টুনসহ বিভিন্ন মালামাল থাকার কারণেই আগুন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। এজন্য অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ভবনটি নির্মাণে ত্রুটি ছিল। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে আগুন লাগার কারণ চিহ্নিতকরণসহ সবকিছু চিহ্নিত করে সুপারিশ করা হবে।

জিল্লুর রহমান আরও বলেন, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। ছয়তলায় গোডাউনের মতো ছিল। সেখানে আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। কিন্তু কোনও লাশ পাইনি। আমাদের কাজ চলছে। আজ বিকাল ৬টায় কাজ শেষে করে পুরো ভবনটি আরেকবার তল্লাশি করে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সাড়ে ৫টায় রূপগঞ্জের কর্ণগোপ হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। অগুনে ভবন থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রথম দিন ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আরও তিন জনের মৃত্যু হয়। মোট মারা যান ৫২ জন। ভবনে কেমিক্যাল ও তৈরি পণ্য একসঙ্গে থাকার কারণে আগুন ভয়াবহ হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন