সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ১২৬ ওভারে ৪৬৮ ও ২য় ইনিংস : ৬৭.৪ ওভারে ২৮৪/১ ডিক্লে.এ
জিম্বাবুয়ে : ১১১.৫ ওভারে ২৭৬ ও ২য় ইনিংস (লক্ষ্য ৪৭৭) : ৯৪.৪ ওভারে ২৫৬/১০ (টেলর ৯২, টিরিপানো ৫২, মুজারাবানি ৩০*, মায়ার্স ২৬, মিরাজ ৬৬/৪, তাসকিন ৮২/৪)।
ফল : বাংলাদেশ ২২০ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সফরের একমাত্র টেস্টটিতে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আগা-গোড়াই আলোচনায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন থেকেই বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই সেনানীর টেস্ট থেকে অবসরের গুঞ্জন। গত দু’দিনে সেটি ডালপালা মেলেছে বেশ। বিসিবির বেশ ক’জন প্রভাবশালী পরিচালকসহ বোর্ড সভাপতিকে পর্যন্ত কথা বলতে হয়েছে এ নিয়ে। শেষ দিনে এসে খুলেছে সে জট। গতকাল হারারে স্পোর্টস ক্লাবে নামার সময় যখন সতীর্থরা যখন মাহমুদউল্লাহকে গার্ড অব অনার দিচ্ছিলেন সাত সমূদ্র তের নদীর এপার বাংলাদেশ থেকেও তখন আর বুঝতে বাকি রইলো না সাদা পোষাকে শেষ ম্যাচটি খেলতে নামছেন দীর্ঘ দিনের এই কান্ডারী।
বিদায়টাও সেটিও হলো রাজসিক। ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টে এসে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন দুর্দান্ত এক ইনিংসের তৃপ্তি আর দলের রেকর্ড গড়া এক জয়ে। টেস্টে তার শেষ ম্যাচে দল পেয়েছে রানের হিসেবে নিজেদের দ্বিতীয় বৃহত্তম আর বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের জয়। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়ে যে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন খোদ রিয়াদ। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সাথে লিটন দাসের ৯৫, তাসকিন আহমেদের ৭৫ ও অধিনায়ক মুমিনুল হকের ৭০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৬৮ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসানের বোলিং তোপে অলআউট হয় ২৭৬ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৮৪ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে শতক হাঁকান সাদমান ইসলাম (১১৫*) ও নাজমুল হোসেন শান্ত (১১৭)। জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৭৭। জিততে হলে গড়তে হতো বিশ্বরেকর্ড। ড্র করাতে হলেও ব্যাট করতে হত ১৩০ ওভারের মতো। স্বাগতিকরা ব্যাট করতে সমর্থ হয়েছে ৯৪.৪ ওভার। ২৫৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ায় শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। প্রায় দেড় বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে জয়ে ফিরল বাংলাদেশ। ২০২০ সালের লাল বল ক্রিকেটে এটি প্রথম জয়। নিউজিল্যান্ড আর পাকিস্তান সফরে টানা হারের পর ঘরের মাটিতে সুযোগ পেয়েও উইন্ডিজকে হারাতে পারেনি মুমিনুল হকের দল।
রানের হিসেবে ২২০ রানের এই জয় বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম। রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২২৬ রানের, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই। রিয়াদের কাব্যিক ইনিংস ছাড়াও বল হাতে জয়ে বড় অবদান রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। প্রথম ইনিংসে মিরাজ পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট, সাকিব চারটি। দ্বিতীয় ইনিংসে চারটি করে পেয়েছেন তাসকিন ও মিরাজ। এবাদত ও সাকিব পান একটি করে উইকেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন