অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশের পোশাক খাত কমপ্লায়েন্সে অনেক অগ্রগতি করেছে। বাংলাদেশ শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং অধিকার প্রশ্নে দেশটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। দেশের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক পুরনো কারখানা কমপ্লায়েন্সের শর্ত পূরণে নিজেদের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। সম্পদের ঘাটতি থাকলেও বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের উন্নয়নের দিকে নেয়ার চেষ্টা করছে। নতুন যেসব কারখানা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করছে। একইসঙ্গে সেগুলো পরিবেশবান্ধব এবং শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ ও আরামদায়ক কর্মময় পরিবেশ সৃষ্টি করছে।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়নের মডেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সম্মেলনে বক্তারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। ‘বাংলাদেশের পোশাক খাতের জন্য টেকসই উন্নয়ন মডেল শীর্ষক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি’ নিয়ে এটি তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (আইএসডিআই) এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সহায়তায় ছিল হার্ভার্ড ল স্কুল।
সম্মেলনে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নেদারল্যান্ডস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। একই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি গার্মেন্ট কোম্পানি, রপ্তানিকারক, আন্তর্জাতিক খুচরা বিক্রেতা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানটিতে সহায়তা করেছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কর্মাশিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) লিমিটেড। অনুষ্ঠানটি সমন্বয় করেন আইএসডিআই এবং আইটি প্রফেশনাল অ্যাট হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের নির্বাহী পরিচালক ইকবাল ইউসুফ। মোট চার পর্বে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
a
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন