দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছিলেন সত্তরর্ধ্ব মোছা. লুৎফা বিবি। অসহায় বিধবা এই বৃদ্ধার স্বামীর মৃত্যুর পরে দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে নিয়ে ভাঙাচোরা একটি ঝুপড়ি ঘরে কোন রকম রাত কাটছিলো তার। একটু বৃষ্টি হলেই ঝুপড়ি ঘর দিয়ে পানি পড়তো। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ নেই। পেটের দায়ে লুৎফা বিবি নিজেই গ্রামের মানুষের বাড়িতে কাজ করে দুই সন্তানদের নিয়ে দিন পার করতেন।
এমন দৃশ্য চোখে পড়লে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে লুৎফা বিবিকে একটি ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেন। পরে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে গৃহহীন লুৎফা বিবির জন্য একটি নতুন ঘর তৈরী করে দেয়া হয়। লুৎফা বিবি লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউপির মৃত জমসেদ আলীর স্ত্রী।
কথা হয় লুৎফা বিবির সঙ্গে তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি কোন দিন স্বপ্নেও ভাবিনি আমার একটা পাকা ঘর হবে, পাকা ঘরে ঘুম পাড়বো। স্বামীর মৃত্যুর পরে খায়া না খায়া দিন কাটতিছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করছি। দুই ছেলই প্রতিবন্ধী। কেউ সহযোগিতা করে নাই। আমারে ইসাহাক চেয়ারম্যান এই ঘর খান করিদিছে। আমি খুব খুশি। এখন বৃষ্টি হলে আর পানি পরবিনা। লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বলেন, দুস্থ অসহায় মোছা. লুৎফা বিবির ঘর ছিল না। উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে গৃহহীন লুৎফা বিবিকে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন