সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যেতে পারবেন প্রতিদিন, ফিরতে পারবেন সপ্তাহে ৩ দিন

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ৪:১৫ পিএম

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত গমনাগমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যেতে পারবেন প্রতিদিন, ফিরতে পারবেন সপ্তাহে ৩ দিন। যদিও স্থলপথে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যšত নির্ধারণ করা হয়।

কোভিড সার্টিফিকেট ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে সপ্তাহে শনি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ভারত থেকে দেশে ফিরতে পারবেন যাত্রীরা। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যšত খোলা থাকছে পুলিশ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম।

তবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে করোনার শুরু থেকে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে ইতিপূর্বে প্রায় ৯ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করত ভারতে। করোনা সংক্রমণে বিধি-নিষেধে বর্তমানে প্রতিদিন যাত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ থেকে ৭০ জনে।

ভারতে গত বছর প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে ১৩ মার্চ ভারত সরকার স্থলপথে বাংলাদেশের সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতি কমে এলে ব্যবসা ও চিকিৎসা ভিসা চালু করেন ১৪ আগস্ট থেকে ভারত সরকার। ট্যুরিস্ট ভিসা বন্ধ আছে এখনও। বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর গত বছরের ৭ জুন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয় দু’দেশের মধ্যে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহাসান হাবিব জানান, ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বেড়েছে ৩১ জুলাই পর্যšত। ঢালাও ভাবে সাধারণ যাত্রীদের ভ্রমণের সুযোগ নেই। তবে যাদের ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র আছে কেবল মাত্র তারাই শর্ত সাপেক্ষে দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ করছেন।
ভারত থেকে যারা দেশে ফিরেছেন তাদের বেনাপোল ও যশোরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচেছ।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন তরফদার জানান, গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সহ দেশের শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখতে বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। বন্দরের বাইরে যাতে ভারতীয় ট্রাক চালকরা বের হতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি রেখেছে বিজিবি পুলিশ ও বন্দরের নিরাপওা কর্মীরা। তাদের মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, করোনার শুরু থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ ও বন্দর সচল রাকা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে স্বাভাবিক রয়েছে আমদানি রফতানি বানিজ্য। করোনা সংক্রমণরোধে কাস্টমস হাউসে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন