খাগড়াছড়ির রামগড়ে এক সাপ্তাহের ব্যবধানে সাপের ছোবলে উষাং মারমা (৩০) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। আজ ১৯জুলাই (সোমবার) সকাল ১১টায় সে তার নিজ বাড়িতে মারা যায়।
নিহত উষাং মারমা রামগড় উপজেলার ১নং রামগড় ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ছোটখেদা যৌথখামার গ্রামের সেলেহা মারমার স্ত্রী। নিহত উষাং মারমা সে এক নিজ সন্তান। তবে তার পালক এক শিশু সন্তান রয়েছে।
রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি কমিউনিটি চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. বিজয় মজুমদার জানান, রাত ১২টার দিকে সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে তার পরিবার হাসপাতালে আসে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়।
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার থুইমং জানান, গতকাল সন্ধ্যায় গৃহপালিত গরু আনতে পাশের জমিতে যায় ঊষাং মারমা। তখন তাকে ছোট একটি সাপে দংশন করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে রাত ১২টায় রামগড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে চট্রগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন। এর আগে পরিবারবর্গ রাত ১০টায় স্থানীয় এক ওঝার কাছ থেকে বনাজী ঔষধ নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।
রামগড় থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) রাজীব চন্দ্র কর জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এখনো বিস্তারিত জানেন না।
উল্লেখ্য, গত (১৩জুলাই) মঙ্গলবার রামগড়ের দক্ষিণ লামকুপাড়া এলাকায় তাহমিনা আক্তার নামের এক শিশু সাপের দংশনে মারা যায়। এনিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু হলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন