সিলেটের বিশ্বনাথে সাবিনা বেগম (২৩) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সাবিনা বেগম উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর লামারচক গ্রামের মতি উল্লার দ্বিতীয় মেয়ে। গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার চন্ডি হেদায়েতপুর (পীরের গাঁও) গ্রামে তার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তাকে তার স্বামী গলায় দড়ি পেচিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে এমন দাবি তার স্বজনদের।
সাবিনার মা করফুলা বিবি জানান, প্রায় ১১ বছর আগে জগন্নাথপুর উপজেলার চন্ডি হেদায়েতপুর (পীরের গাঁও) গ্রামের হুরমত আলীর ছেলে আলী হোসেনের সাথে সাবিনা বেগমকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকেই স্বামী আলী হোসেনের সংসারে অভাব অনটন দেখা দেয়। প্রায়ই তার শশুর বাড়ি থেকে কখনও বিকাশের মাধ্যমে আবার কখনও সরাসরি টাকা নিতেন। কখনও তার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারলে স্ত্রী সাবিনাকে নানা ভাবে নির্যাতন করত। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
সাবিনার মৃত্যুর ১৫দিন আগেও তাকে স্বামী বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছিল। গত শনিবার সকাল ৮টার দিকে সাবিনা আত্মহত্যা করেছে এমন খবর আসে তার বাবার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে সাবিনাকে একটি খাটের উপর শোয়ান অবস্থায় দেখতে পান। তার গলায় একটি দড়ির চিহ্ন রয়েছে এবং সাবিনা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকে স্বামী।
এদিকে সাবিনার ৫ বছরের কন্যা শিশু ছামিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলছে, আমার আম্মারে আমার আব্বায় গলাত রছি লাগাইয়া মারিলিছইন। আমি দেইক্কা কানছি। বাদে আমারে দোকান নিয়া ছকলেট লইয়া দিছইন। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানা একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়েছে। সাবিনার স্বামী আলী হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জগন্নাথপুর থানার এসআই আব্দুস সাত্তার ইনকিলাবকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যা। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসলে বোঝা ঝাবে হত্যা না আত্মহত্যা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন