চাটখিলে ফারজানা আক্তার লাবনী নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে দাফনের ৬ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল দুপুর ৩টার দিকে আদালতের নির্দেশে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনির উপস্থিতিতে চাটখিলের নোয়াখলা গ্রাম থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুলাই রাত আনুমানিক ১১টার দিকে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ লাবনী ভাড়া বাসায় মারা যায়। সে তার স্বামী ফয়সাল হোসেনের চাকরির সুবাধে নোয়াখালী সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। গত ১৩ জুলাই লাবনী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করে তার স্বামী। সুধারাম থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে লাবনীর অভিভাবকের আগ্রহে ময়নাতদন্ত ছাড়া চাটখিলে লাশ দাফন করা হয়। স্থানীয়রা বলছে, নিহতের শরীরে নানা ধরনের নির্যাতনের দাগ ও ক্ষত চিহ্নের ছবি ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পরে আদালতে আবেদন করা হলে লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে নির্দেশ দেয় আদালত। সুধারাম থানার ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন জানান, প্রথমে নিহতের পরিবার ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের জন্য আবেদন করে। ঘটনার ৫ দিন পর নিহতের পরিবার লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করতে আবেদন করে। আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান রনি বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল রিপোর্ট করে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন