ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের এক মহিলার লাশ দাফনের ৮দিন পর দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার সংকরপুর কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়েছে বলে মামলার আর্জি থেকে জানা যায়। পাষণ্ড স্বামী যৌতুকের কারনে তার স্ত্রীকে স্বাসরোধ করার অভিযোগ করেছে স্বজনরা।
জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার হাটপাড়া গ্রামের শুকুদ্দীর মেয়ে খাদিজার সঙ্গে দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার সংকরপুর (পাটশালার) গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে আব্দুর রহমানের বিয়ে হয়। বছর দুয়েক যেতে না যেতেই যৌতুকের কারনে পরিকল্পিতভাবে অন্তস্বত্তা অবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারি রাতে তার স্বামী তাকে স্বাসরোধ করে খাদিজাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা। পরদিন সকাল ১১টায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সংবাদ পায় খাদিজার বাবা। এ খবর শুনে তার অভিভাবকরা আব্দুর রহিমের বাড়িতে যান। আব্দুর রহিম তার স্ত্রীর লাশটি তাদের ফেরত না দিয়ে জোরপূর্বক স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করেন।
এ ব্যাপারে খাদিজার পিতা বাদী হয়ে নামিয় ৮জনসহ বেনামি ১০/১৫ জনকে আসামী করে ১৮ জানুয়ারি ইং তারিখে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত)/২০০৩ আইনের ১১(ক)/৩০ তৎসহ ২০১/৩৮৬/৩৪২ দ: বি: ধারা মতে বিরল থানায় মামলা রুজু করে। তদন্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত শুজয় কুমার রায়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম রওশন কবির, এএসপি (সারর্কেল) শুসান্ত সরকার, ওসি এটিএম গোলাম রসুল, তদন্ত ওসি শুজয় কুমার রায়, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মুরাদ সহ অন্যান্যদের উপস্থিতিতে দাফনের ৮দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার খাদিজার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, খাদিজার মৃত্যুতে হত্যা মামলা হয়েছে। কোটের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হয়েছে, ময়না তদন্ত রিপোটের ভিত্তিতে মামলার অগ্রগতি হবে, তদন্ত চলছে এবং ইতোমধ্যে একজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন