শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

খুলনায় বকেয়া ব্যাংক ঋণ ৪৯০ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনা জেলার ৪৫টি ব্যাংকে বকেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯০ কোটি ৬ লাখ টাকা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বকেয়া আদায়ের জন্য গ্রাহকদের দফায় দফায় চিঠি দিচ্ছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য উপজেলা ও মহানগরী পর্যায়ে ২ হাজার একশ’ সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
গত সোমবার খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সদস্য সচিব মোঃ মিজানুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার সরদার ফরিদ আহমেদ, বেসিক ব্যাংকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, দক্ষিণ জনপদের কৃষি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চিংড়ি, সাদা মাছ, ধান, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, পেয়ারা, কুল, রফতানিযোগ্য কাঁচা পাট, গবাদি পশু পালন, পোল্ট্রি খামার ইত্যাদি খাতে সরকারের দেওয়া ৫ শতাংশ সুদের সুফলের কথা গ্রামবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
সভায় বলা হয়, প্রতি বছর খুলনা থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি, ৩০ কোটি টাকা মূল্যের মধু এবং ২০ কোটি টাকা মূল্যের তিল ও তিলের তেল বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এসব খাতে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকা ভিত্তিক নতুন নতুন কৃষি ভিত্তিক খাতে ঋণ বিতরণে মনযোগী হতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সভার সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চলতি অর্থ বছরে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে।
জেলা কৃষি ঋণ কমিটির সদস্য সচিব মিজানুল ইসলাম বলেন, ঋণ আদায়ের লক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে গতিশীল হতে হবে। তিনি বলেন, এ অঞ্চলকে শিল্পে সমৃদ্ধ করতে ব্যাংকিং সেক্টরের অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
জুলাই মাসে উপজেলা সার্টিফিকেট আদালতে ৮টি মামলা নিষ্পত্তি করে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আদায় করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার সরদার ফরিদ আহমেদ জানান, জেলার ২১টি শাখায় ব্যাংকের বকেয়ার পরিমাণ ১০ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, বকেয়া আদায়ে দফায় দফায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিংড়ি উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানিতে উৎসাহিত করতে চলতি অর্থ বছরে জেলায় ১৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হবে। বেসিক ব্যাংকের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, বকেয়া ঋণের পরিমাণ ৪৯ কোটি টাকা। ঋণ আদায়ে গ্রাহকদের লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, যেসব ব্যাংকে বকেয়া ঋণ তার মধ্যে উলে­খযোগ্য হচ্ছে কৃষি, সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, কর্মসংস্থান, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ, ইউসিবিএল, প্রিমিয়ার ব্যাংক, আইএফআইসি, বেসিক ও এবি ব্যাংক ইত্যাদি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন