শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে ২২৫ পোশাক কারখানা

প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : শ্রমঅধিকার নিশ্চিত ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের ২২৫টি তৈরি পোশাক কারখানা আগামী জুনের মধ্যে বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচির আওতাভুক্ত হবে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) ও বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষায়িত শাখা আন্তর্জাতিক ফিন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) পরিচালিত এই কর্মসূচির অধীনে বর্তমানে ৯৮টি পোশাক কারখানা আছে।
এই কর্মসূচির কারণে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া ছাড়া অন্য পাঁচটি দেশের পোশাক কারখানার কী উন্নতি হয়েছে, সে বিষয়ে গত সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার আগে গতকাল দুপুরে রাজধানী ঢাকায় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীর কাছে প্রতিবেদনটির সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার লুইস বি ভেনগেস। এ সময় তিনি বাংলাদেশে পরিচালিত কর্মসূচিটির বিষয়েও বিভিন্ন কথা বলেন। বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, জর্ডান, হাইতি ও নিকারাগুয়ার এই সাতটি দেশে বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এইচঅ্যান্ডএম, পিভিএইচ, নেক্সট, ইউনিক্লো, পুমা, লি অ্যান্ড ফাং, নাইকিসহ বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ড এই কর্মসূচির অংশীদার হিসেবে আছে। লুইস বি ভেনগেস বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ক্রেতাদের দুই জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স এবং সরকারের উদ্যোগে কারখানার বৈদ্যুতিক, অগ্নি ও ভবনের কাঠামোগত পরিদর্শন চলছে। অন্যদিকে, বেটার ওয়ার্কের কার্যক্রমের মাধ্যমে কারখানাগুলোর সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স মূল্যায়ন করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, প্রায় ৯৫ শতাংশ কারখানাই ক্রেতাদের চাপে পড়ে বেটার ওয়ার্ক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে কর্মসূচির অধীনে আছে ৯৮টি কারখানা। আগামী বছরের জুনের মধ্যে এই সংখ্যা ২২৫-এ নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আছে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে এই কর্মসূচির সূচনা হয়।
বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার বলেন, কর্মসূচির আওতায় শ্রম অধিকারসহ কারখানার বিভিন্ন বিষয় মূল্যায়ন বা নিরীক্ষা করা হয়। এ জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ ও ক্রেতাকে অর্থ পরিশোধ করতে হয়। মূল্যায়নের পরে যেসব বিষয়ে ঘাটতি আছে, সে বিষয়ে কারখানাগুলোকে উন্নতি করতে হয়। পরে সেই অগ্রগতি প্রতিবেদন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের কাছে পাঠানো হয়। কোনো কারখানা যদি উন্নতি করতে না পারে কিংবা সন্তোষজনক না হয়, তবে ক্রেতা-সংশ্লিষ্ট কারখানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে। তার মানে ক্রয়াদেশ পাবে না ওই কারখানা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন