লকডাউনের তৃতীয় দিন আজ রোববার খুলনা নগরীর সড়ক মহাসড়ক গুলোতে থ্রী হুইলার ইজিবাইক ও মাহেন্দ্র'র আধিক্য দেখা গেছে। নেমেছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। প্রধান সড়ক গুলোর পাশের দোকানপাট না খুললেও অলিতে গলিতে খুলেছে। কারণে অকারণে মানুষ ঘোরাঘুরি করছেন। চায়ের দোকান গুলোতে সন্ধ্যা হলেই মানুষের জটলা বসছে। বিশেষ করে বাজার কেন্দ্রিক জন সমাগম হচ্ছে বেশি।
ঈদের আগের লকডাউনে যতটা কঠোরতা অবলম্বন করা হয়েছিল, সে তুলনায় এবার বেশ শিথিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের মাঝেও দেখা যাচ্ছে লকডাউন না মানার প্রবনতা।
আজ রোববার সকালে নগরীর শিববাড়ি, পাওয়ার হাউজ মোড়, ময়লাপোতার মোড় ছাড়া কোথাও টহল পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়নি। সার্বিকভাবে খুলনায় ঢিলেঢালা ভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে। তবে উপজেলাগুলোতে প্রশাসন বেশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
খুলনায় ঈদের আগে যে হারে সংক্রমণ ও মৃত্যু হচ্ছিল, ঈদের পরও মোটামুটি সে হার বজায় রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৭ জন। এর আগের দিন আক্রান্ত হন ১৩৯ জন। গত দু দিনে করোনায় মারা গেছেন ২০ জন। শনিবার লকডাউন অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালত ৫৩ জনকে অর্থদন্ড করে।
মন্তব্য করুন