দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্টিল বডির নৌকাযোগে মেঘনা নদীতে ঘোরাফেরা করার সময় ৪৬ সদস্যের এক বিশাল কিশোর গ্যাং ধরা পড়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও লকডাউন বাস্তবায়নে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রইছ আল রেজুয়ানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত নাগরীয়াকান্দি ব্রিজ সংলগ্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে এই কিশোর গ্যাং কে আটক করেন।
জানা গেছে, নাগরিয়াকান্দি শেখ হাসিনা সেতু এলাকাটি দিনদিন একটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় পরিণত হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক পূর্বে এই এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডও সংঘটিত হয়েছে। শহরের শান্তিপ্রিয় মানুষ শেখ হাসিনা সেতু এলাকায় ভ্রমণ করতে গেলে তাদের নিকট থেকে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার সন্ধ্যার পর ৪৬ সদস্যের একটি কিশোর গ্যাং ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে হইহুল্লোড় করে ঘোরাফেরা করতে থাকে। লকডাউনের সময় এই ধরনের ঘটনাটি দৃষ্টিকটু পর্যায়ে পৌঁছালে বিষয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে নরসিংদীর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রইছ আল রেজওয়ানের নেতৃত্বে বিজিবি আনসার সমন্বয়ে গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত স্পিডবোট নিয়ে মেঘনায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংটিকে আটক করে। এসময় নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, নান চাকু ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে না পারায় তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে আটক করা হয়। কিশোর গ্যাংটি নরসিংদী পৌর এলাকার কাউরিয়াপাড়া, শালিধা, মাধবদী থানাধীন চাঁন্দের পাড়া ও নজরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরে যাচাই বাছাই করে আটককৃত কিশোর গ্যাংয়ের ৭ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় এক্সিকিটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা দেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্য সদস্যদের বয়স কম হওয়ায় তা বিবেচনায় এনে মোবাইল কোর্টের আওতায় জরিমানা করে মোসলেকা নিয়ে পিতামাতার কাছে হস্তান্তর করেন। অভিযানে আনসার, ভিডিপি দলনেতাগণ, বিজিবি ও জেলা পুলিশ নরসিংদীর সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন